কাবেরি তীরে ত্রিশঙ্কু জোটের লড়াই
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজনৈতিক উত্তাপে ফুঁটছে পশ্চিমবঙ্গ। নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার পরেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠকে বসেছে সমস্ত দল। একইসঙ্গে নির্বাচনের উত্তাপ গিয়ে পড়েছে দক্ষিণ ভারতেও।
প্রার্থী তালিকা নিয়ে চুড়ান্ত পর্বের বৈঠকে বসেছে কাবেরি তটের রাজনৈতিক দলগুলি। চেন্নাই, কোয়েম্বাটুর থেকে শুরু করে মাদুরাই। সময় যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।
আসনরফা নিয়ে শেষ মুহুর্তের বৈঠকে বসেছে বিজেপি এবং এআইডিএমকে। যদিও এর আগেই আসনরফা নিয়ে রামাদোসের পিএমকের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ফেলেছে এআইডিএমকে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনে ২৩ টি আসনে লড়াইয়ের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাত্তালি মাক্কাল কাটচি।
তবে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করে নিতে চাইছে তামিলনাড়ুর শাসক দল। বিজেপির তরফে এআইএডিএমকের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি, তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি এল মুরুগান এবং রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সিটি রবি।
আরও পড়ুনঃ অদ্ভুত চিত্রনাট্য! মমতার সঙ্গে বৈঠকে লালু পুত্র
অন্যদিকে এআইএডিএমকের তরফে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ইকে পালানোস্বামী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পান্নিরসিলভাম। তার আগে এক দফায় মুখ্যমন্ত্রী বাসভবনে বৈঠকে বসেন ডিএমকে নেতৃত্ব। একইসঙ্গে বিজয়াকান্তের দল ডিএমডিকের সঙ্গে আলোচনা জারি রেখেছে এআইএডিএমকে।
তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক লড়াইয়ে অন্যদিকে একজোট হয়েছে ডিএমকে, কংগ্রেস এবং বামেরা। জোট নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক সেরেছে তিন দল যার নেতৃত্বে ছিলেন টিআর বাল্লু। বৈঠকের মাঝেই কোলাথুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ের জন্য দলের নির্বাচনী কমিটির কাছে চিঠি দেন এমকে স্ট্যালিন। এর আগে দুই বার ওই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন তিনি।
লড়াই মূলত দুই জোটের মধ্যে হলেও কাবেরী তিরবর্তী রাজনীতিতে উঠে এসেছে আরও একটি জোট। ভোট মুখে হাত মেলাতে চাইছেন দক্ষিণ ভারতের দুই অভিনেতা শরদ কুমার এবং কামাল হাসান। জোট নিয়ে আলোচনা জারি রেখেছে শরদ কুমারের এআইএসএমকে এবং এমএনএম।
এর আগে রাজ্যের শাসক দল এআইএডিএমকের শরিক দল হিসাবে লড়াই করেছে শরদ কুমারের এআইএসএমকে। কিন্তু কিছুদিন আগেই শরদ কুমার ঘোষণা করেন তিনি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ইন্ধিয়া জননায়াগা কাটচির সঙ্গে জোট করে লড়বেন। যারা গত লোকসভা অবধি এমকে স্ট্যালিনের দল ডিএমকের সঙ্গে একজোটে লড়েছেন।
কিছুদিন আগেই কামাল হাসানের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন শরদ কুমার। উপস্থিত ছিলেন আইজেকে নেতৃত্ব। একই মতাদর্শকে সামনে রেখে নির্বাচনে লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছেন। এমনটাই বার্তা মেলে শরদ কুমারের তরফে।
শুধুমাত্র তামিলনাড়ু নয় পুদুচেরিতেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তৃতীয় ফ্রন্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবী করেছেন কামাল হাসান। যদিও জোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী কে হবেন সেবিষয়ে এখনই কিছু জানাতে চান না শরদ কুমার।
তামিলনাড়ুতে তৃতীয় ফ্রন্ট নিয়ে আলোচনা হলেও লড়াই মূলত এআইডিএমকে নেতৃত্বাধীন জোট বনাম ডিএমকে নেতৃত্বাধীন জোট। তামিলনাড়ুকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উপস্থিত হয়েছেন রাহুল গান্ধী। প্রচারে গিয়েছেন অমিত শাহও।
গতবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রয়াত জয়ললিতার দল এবং তার শরিকরা মিলে ১৩৬ টি আসন জয়লাভ করে। অন্যদিকে করুণানিধি এবং ডিএমকে শরিক দলগুলি পায় ৯৮ টি আসন।
কিন্তু সময় বদলে ১৯ এর লোকসভায় ডিএমকের ব্যাপক ফলাফলে পিছিয়ে পড়ে প্রয়াত জয়ললিতার দল। এবারে তাঁদের শরিক দল কংগ্রেস এবং বামেরা। লোকসভাতে বাকি দুই দলের ফলাফলও ছিল বেশ ভালো। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে একুশের লড়াইয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াবে এআইএডিএমকে? তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।