তৃণমূল-সিপিএম ‘বাইনারি’ করে দিলেন বিজেপির সায়ন্তন!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ এর বিধানসভা ভোটের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের সময়টা খারাপ যাচ্ছে। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসার স্বস্তি কটা দিনও উপভোগ করতে পারেনি। উল্টে পুর নির্বাচন, উপনির্বাচনে ‘শূন্য’ সিপিএমের কাছে ক্রমশ জমি হারাচ্ছে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটে মূল লড়াইটা তৃণমূল বনাম সিপিএম হবে বলে জানিয়ে দিলেন ‘দিলীপ ঘোষ’ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়েছে। যা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে লেখা। তার তলায় প্রেরক হিসেবে জনৈক সায়ন্তন বসু’র নাম লেখা আছে। এই সায়ন্তন কি তিনিই? প্রশ্ন করলেও এই নিয়ে খোলসা করে কোনও জবাব দিতে চাননি রাজ্য বিজেপির এই প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক।
সেই চিঠির বয়ানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, “প্রধান বিরোধী দল হয়েও ক্রমশ সিপিএমের কাছে জমি হারাচ্ছে বিজেপি। দলের নেতাদের অস্তিত্ব শুধুই সোশ্যাল মিডিয়ায় আছে। কোনও সংগঠন নেই। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের সরাসরি লড়াই হবে!”
সম্মেলনের নামে যা হল, এরপর চিনকে সমর্থন করা মানে যেচে মুখ পোড়াবে ভারতীয় কমিউনিস্টরা
কার্যত দিল্লির নেতাদের রাজ্য পার্টি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন সায়ন্তন। সেই চিঠি প্রকাশ্যে চলে আসায় বিজেপিরই অস্বস্তি বেড়েছে। কারণ তাদের নেতাই কার্যত তৃণমূল-সিপিএম বাইনারির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি আদৌ সব জায়গায় প্রার্থী দিতে পারবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সেইসঙ্গে শাহ-নাড্ডা’রাও বাংলায় বামের কাছে রামের জমি হারানোর বিষয়টা জানেন কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর দিলীপ ঘনিষ্ঠ সায়ন্তন বসু একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এই প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদককে রাজ্য কমিটির কোনও পদেই রাখা হয়নি। সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি এমন চিঠি লিখলেন, নাকি এটাই রাজ্য রাজনীতির ‘গ্রাউন্ড রিয়েলিটি’ সেই তুল্যমূল্য প্রশ্নও ঘুরে বেড়াচ্ছে।