নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উদঘাটনের দাবি তৃণমূলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্যসভায় দলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। ২০১৫ সালে নেতাজি সংক্রান্ত সব ফাইল প্রকাশ করে রাজ্য সরকার।
এদিন সুখেন্দুশেখরবাবু বলেন, ‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করার পরই ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজি ফাইল প্রকাশে উদ্যোগী হয়। যদিও সেই সংক্রান্ত সব ফাইল প্রকাশ করেনি কেন্দ্র।’
সরকারের কাছে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত গোপন নথিপত্র প্রকাশ্যে আনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে থাকা ৬৪টি গোপন ফাইল প্রকাশ করে দেন।
১২৫তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা, কালকা মেল এবার নেতাজি এক্সপ্রেস
তখন থেকেই নেতাজিকে নিয়ে কেন্দ্রের কাছে থাকা গোপন ফাইলগুলি প্রকাশ্যে আনতে মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়তে থাকে রাজ্যের শাসক দল। ২০১৬ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত ১০০টি গোপন ফাইল প্রকাশ্যে আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নেতাজি সংক্রান্ত ১০০টি ফাইলের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
একটি ফাইল থেকে জানা গিয়েছে, জওহরলাল নেহরুর উদ্যোগে নেতাজির কন্যা অনিতাকে এআইসিসি পেনশন দেওয়া শুরু করেছিল। বছরে ৬০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হত। স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার হিসেবেই এই পেনশন দেওয়া হত অনিতাকে।
তবে ১৯৬৫ সালে নেতাজির কন্যার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সেই পেনশন বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে এই পেনশন নেতাজির স্ত্রীকেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু তিনি পেনশন নিতে অস্বীকার করায় মেয়ে অনিতার নামে পেনশন দেওয়া শুরু হয়।
আরও অনেক নথি রয়েছে ১০০টি ফাইলে। তবে তৃণমূলের দাবি, আজাদ-হিন্দ-ফৌজ বা নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করেনি মোদি সরকার।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে শান্তিপুরের বিধায়ক
এদিকে মঙ্গলবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীকে ‘পরাক্রম দিবস’ বলে ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। ২৩ জানুয়ারি তারিখকে পরাক্রম দিবস ঘোষণা করে দেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস এর বিরোধিতা করেছে।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছরের পর বছর দাবি করে আসছেন, ২৩ জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক। একইসঙ্গে দিনটিকে দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করা হোক। এটাই উপযুক্ত নাম। কারণ স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে দেশনায়ক বলে ডেকেছিলেন। কিন্তু মোদি সরকার একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’