৬৫ ঊর্ধ্ব সাংসদদের বাদল অধিবেশনে যোগ না দেওয়ার নির্দেশ তৃণমূলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা সংকট মাথায় নিয়েই একাধিক নিয়ম মেনে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদে শুরু হতে চলেছে বাদল অধিবেশন।
অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের অধিবেশন যে অনেক ক্ষেত্রেই আলাদা হবে তা বলাই বাহুল্য। তবে ৬৫ ঊর্ধ্ব অনেক সাংসদরা শারীরিক কারণে এই অধিবেশনে যোগ দিতে চাইছেন না। তৃণমূলের বেশ কয়েকজন সাংসদ এই তালিকায় রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে তৃণমূল কংগ্রেসের ৬৫ ঊর্ধ্ব অধিকাংশ সাংসদরা এবারের অধিবেশনে যোগ দেবেন না। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফের এই নিয়ে কোনও নির্দেশিকা বা নিয়ম জারি করা হয়নি।
তবে সংবাদ সূত্রে খবর, ৬৫ ঊর্ধ্ব সাংসদদের বলা হয়েছে তারা যেন শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে নিজেদের এই অধিবেশন থেকে দূরে রাখেন।
এই তালিকায় সবার প্রথমে নাম রয়েছে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬৭। একটা সময় দীর্ঘকাল রোগভোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাই কোনও ভাবেই সংক্রামিত হতে চাইছেন না সুদীপ।
তিনি জানিয়েছেন, কলকাতায় থেকেই দলীয় সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ও নিজেকে এই অধিবেশন থেকে সরিয়ে রাখছেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/assembly-elections-are-coming-up-in-bihar-lok-janshakti-party-in-a-meeting-to-decide-the-strategy/
৭১ বছর বয়সী শুখেন্দু শেখর রায় কেন্দ্রের আনলক ৪ গাইডলাইনকে হাতিয়ার করে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ৬৫ ঊর্ধ্ব মানুষদের কোনও ইমারজেন্সি ছাড়া বের হতে না করেছে। আমি এবারের অধিবেশনে থাকবো না কারণ আমার বয়স ৭১ হয়েছে।
আমি আনলক ৪-এর গাইডলাইন মেনে চলবো। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে আমি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছি। তিনিও কলকাতায় থেকেই দলীয় সাংসদদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলবে বলে জানিয়েছেন।
যদিও সংসদে তৃণমূলের অন্যতম সক্রিয় এবং চর্চিত মুখ দমদমের সাংসদ সৌগত রায় কোনও ভাবেই এই অধিবেশন মিস করতে চান না। তাঁর বয়স ৬৫ বছরের বেশি হলেও তিনি বাদল অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
সৌগত রায়ের কথায়, দলের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কারোর বয়স যদি ৬৫-র বেশি হয় এবং সে যোগ দিতে চায় তাহলে সে দিতে পারে। তাই আমি অধিবেশনে যোগ দেব।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এবারের বাদল অধিবেশন। প্রত্যেকদিন লোকসভা ও রাজ্যসভার জন্য চার ঘণ্টা করে সময় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এবারের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
যারা যারা এই অধিবেশনে যোগ দেবেন তাদের সবাইকে অধিবেশন শুরু হওয়ার ৭২ ঘন্টা আগে নিজেদের কোভিড টেস্ট করাতে হবে। সংসদের সমস্ত কর্মী এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের নিজেদের কোভিড টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই সংসদে যেতে হবে।