জেইই এবং নিট পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে নেওয়ার দাবিতে মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভে তৃণমূল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কোভিড সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে জেইই এবং নিটের পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে নিক কেন্দ্র সরকার। এই দাবীতে শুরু থেকেই সরব হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।

এবার সেই দাবীতে শুক্রবার ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের পাশাপাশি পথে নেমে প্রতিবাদ করবে তৃণমূল।

শুক্রবার দলীয় কর্মসূচি শুরু হবে দুপুর ২ টো থেকে। দুপুর ৩ টে থেকে যুব তৃণমুলের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ তার মাঝে জেইই এবং নিটের পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে নেওয়ার দাবীতে মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভ করতে চলেছে তৃণমূল। এদিনের অবস্থান বিক্ষোভে অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

প্রতি বছর মেয়ো রোড থেকে তৃণমূল ছাত্র দিবস উপলক্ষে ভাষণ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু এবার করোনার কারণে ২১ শে জুলাইয়ের মতো ভার্চুয়াল ভাষণ দেবেন তিনি।

কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই দেশজুড়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা করালে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই অবিলম্বে দুটি পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে নিক কেন্দ্র। এই দাবীতে সরব হয়েছে একাধিক রাজ্য সরকার এবং রাজনৈতিক দল।

কিছুদিন আগেই অবিজেপি দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক ডাকেন সোনিয়া গান্ধী। একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা। সেখানেও একই দাবীতে সরব হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঞ্জাব, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড, ছত্তিসগড় সহ একাধিক অবিজেপি রাজনৈতিক দলের মুখ্যমন্ত্রীরা।

“রক্ত দিয়ে প্রমান করেছিলো লড়াই-এর ময়দান ছেড়ে ছাত্র পরিষদ পালিয়ে যায় না”

এমনকি অবিলম্বে পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে নেওয়ার দাবীতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা তোলে বিরোধীরা। তবে তারই আগে আন্দোলনকে আরও জোরালো করতে পথে নামছে তৃণমূল।

টিএমসিপি সূত্রে খবর, প্রতিটি জেলায় দলনেত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণের সম্প্রচারের জন্য একটি করে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই টিএমসিপির নেতা এবং কর্মীরা ভার্চুয়াল ভাষণ দেখতে পাবেন। এছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমেও চলবে গোটা কর্মসুচী।

যদিও এর আগে পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল একাধিক রাজনৈতিক দল। ছাত্রদের কেরিয়ারের কথা ভেবে কোনওভাবেই পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। স্পষ্ট করে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

পাশাপাশি অনেকেই পরীক্ষা চেয়ে এডমিট কার্ড ডাউনলোড করে ফেলেছে। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র।

লকডাউনের কারণে বহু রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থা এই মুহুর্তে বন্ধ রয়েছে। ট্রেন বাস পরিষেবা চালু না থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্র অবধি কিভাবে উপস্থিত হবেন তা নিয়ে চিন্তিত পরীক্ষার্থীরা।

সম্পর্কিত পোস্ট