খুনের রাজনীতি নয়, মানুষের জীবনের সুরক্ষার জন্য কাজ করছে তৃণমূল: ফিরহাদ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি বিধায়ক খুনে ফের উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। সোমবার সকাল থেকেই বাকযুদ্ধে বাংলার দুই প্রধান।
নিউটাউনের বাসভবন থেকে শুরু করে রাজভবন তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন।
এদিন নিজের বাড়িতে বসে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যেরে মন্ত্রী তথা কলকাতা পুর নিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
এদিন তিনি বলেন, ‘আসলে ওনারা নিজেরাই এত অন্যায় করেন। এনকাউন্টার থেকে আরম্ভ করে সবকিছু করেন। তাই নরমাল কেসটাতেও সিবিআই চাইছেন। মাথার মধ্যে করোনা ঢুকে আছে যাদের, তারা এই ভুলভাল রটায়। সেখানকার গ্রামের মানুষ দেখেছে। সিআইডি তদন্ত করছে তার পরেও সিবিআই চাইছেন ওনারা। পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায় পুরো ব্যাপারটাই সেরকম।’
হেমতাবাদের বিধায়কের মৃত্যুর পর ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য
এদিন পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে ফিরহাদ বলেন, ‘সিবিআই-তে কি হবে? আমাদের এখানকার পুলিশ অনেক বেশি কেস সলভ করেছে সিবিআইয়ের থেকে। তাই আমরা প্রশাসনের ওপরই ভরসা রাখছি এর ফলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। আত্মহত্যা না খুন হয়েছে তাতে পুলিশের ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই।’
এদিন ফিরহাদ আরও বলেন, আমাদের কাছে মানুষের জীবন বা মানুষের সুরক্ষা রাজনীতির ওপরে। কিন্তু বিজেপির কাছে মানুষের সুরক্ষার তুলনায় রাজনীতি বেশি বড়। মানুষের কি হল, তাতে ওদের কিছু যায় আসে না। যেখানে এত মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন, আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে সরকার ফেলার খেলায় নেমেছে বিজেপি? শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সর্বত্রই একই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ওঁরা।’
এদিকে মৃত বিধায়ক কোন দলের তা নিয়ে টানাপোড়েনের রাজনীতি চলছে। একদিকে বাম-কংগ্রেস দাবি করছে মৃত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় বাম-কং জোটের বিধায়ক ছিলেন। স্পিকারের কাছে তিনি ইস্তফা জমা দিলেও তা গৃহীত হয়নি বলে দাবি করা হয় জোটের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে বিজেপি মৃত বিধায়ককে তাদের দলের লোক বলেই দাবি করছে। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘ লাশ ধরার রাজনীতি চলছে। বিজেপি করলে ডিপ্রেশনে ভুগতে হয়। তাই বিজেপি এমপি-এমএলএরাও ডিপ্রেশনে ভুগছেন।’