কৃষিজিবি মানুষের স্বার্থে এই লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়বেন তৃণমূলনেত্রী: চন্দ্রিমা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশের কৃষিজীবি মানুএর পক্ষেই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার এই বার্তা দিতে সকাল থেকেই কলকাতার মেয়োরোডে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে মহিলা নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস।

রবিবার রাজ্যসভায় পাস হওয়া কৃষি বিল পাসের সময় সংসদে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদ। সোমবার সকালে তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং দোলা সেন সহ প্রতিবাদী ৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান।

দলীয় সাংসদদের এহেন সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। তারপর এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব গান্ধি মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। এই অবস্থান-বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধান নগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, বিধায়ক স্মিতা বক্সি প্রমুখ।

তারা জানিয়েছেন, যে দিন কৃষি বিল রাজ্যসভায় পাস হয়েছে ওই দিনটি ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য কালা দিবস। সম্পূর্ণভাবে জোর করে কৃষক বিরোধী একটি বিল রাজ্যসভায় পাস করানো হয়েছে। এই বিল দেশের কৃষকদের বিরুদ্ধে। এই বিলে গরীব কৃষকদের কোনও লাভই হবে না। জোর করে বিজেপি সরকার কৃষি বিল পাস করিয়েছে এবং রাজ্যসভায় জয়ের জন্য সংখ্যা নেই বুঝতে পেরে ভোটাভুটিতে না গিয়ে গায়ের জোরে এই বিল পাস করানো হয়েছে।

এই নিয়ে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সরাসরি কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, রাজ্যসভায় যেভাবে তৃণমূল সাংসদ ও বিরোধী পক্ষের সাংসদের অপমান করে তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তা একেবারে সংবিধান বহির্ভূত। রাজ্যসভায় সবাই দেখেছে তারা কি কাজ করেছে এবং কাদের সাসপেন্ড করা উচিত ছিল।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/in-response-to-the-criticism-the-state-unveiled-the-chief-ministers-letter/

তিনি বলেন, বিজেপি সরকারের হাতে দেশের মানুষ সুরকইত নয়। বিশেষ করে শ্রমিক, কৃষক, গরিব খেটে খাওয়া মানুষ। মোদি সরকারের একের পর এক জন বিরোধী নীতিতে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এ প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন যে যতই তৃণমূল কংগ্রেস কন্ঠরোধ বা সাংসদের বরখাস্ত করা হোক না কেন, কৃষক বিল নিয়ে তৃণমূলের এই আন্দোলন চলবে।

অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “কৃষকদের লাভ দেখে আইন করছে না মোদি সরকার। বিজেপির কী লাভ হবে, সেটাকে লক্ষ্য রেখেই আইন করা হয়েছে। আর কিছু শিল্পপতির লাভ দেখা ।

তিনি বলেন, এই আইনের ফলে কৃষকের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য়ের উপর কোপ পড়বে ধীরে ধীরে। কৃষক যদি লাভবান হতো, তা হলে কেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলিকে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রাজ্যসভার ভিতরে বা দিল্লিতে কৃষকের জন্য এই আন্দোলন সীমাবদ্ধ থাকবে না। আজ আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি। বাংলা যে এই কৃষক-বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে রয়েছে এবং দেশে কৃষিজিবি মানুষের পাশেই আছে তা জোর গলায় মানুষের কাছে জানিয়ে দিতে চাই।

এদিন এই আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতা বোঝাতে গিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাকে সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সব সময় কৃষকের স্বার্থে কাজ করেন। তাঁর আন্দোলন কৃষকের স্বার্থকে সামনে রেখে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে তাঁর দিকে অনেকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী কালে দেখা যায়. বেআইনি ভাবে কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করেছিল বিগত বামফ্রন্ট সরকার। আজও কেন্দ্রীয় সরকার যে কৃষক-বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন দলনেত্রী।

সম্পর্কিত পোস্ট