‘ছাত্র দরদী ‘ রাজ্যপাল জেইই ও নিট নিয়ে চুপ কেন প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদ নুসরতের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিভিন্ন সময় কেন্দ্রের নানান বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে পাশ্চিবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। বিভিন্ন সময় নাগরিক ও ছাত্র-ছাত্রীদের তাঁকে অতি সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে।
কিন্তু করোনা আবহে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা হওয়া নিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে চুপ। বৃহস্পতিবার এই নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। তাঁর প্রশ্ন, ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিন্ধান্তে আপনি চুপ কেন?
যে কোনও ইস্যুতেই রাজ্যপালকে দেখা যায় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে। ভাবটা এমন যেন তাঁর চেয়ে রাজ্যবাসীর বড় শুভাকাঙ্খি আর কেউ নেই। এমনতাবস্থায় সম্প্রতি রাজ্যের প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচাও দিত ছাড়েননি তিনি।
একাধিক ট্যুইট সিরিজে নিজের ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন। তবে এযাবত্কায়ল জেইই ও নিট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে তাঁকে কোনওরকম মুখ খুলতে দেখা যায়নি। এবার সেই বিষয়েই ধনকরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
‘জেইই ও নিট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারে বড়সড় ভুল সিদ্ধান্তে আপনার নিস্তব্ধতায় আমি সত্যিই হতবাক ধনকরজি! দয়া করে এবার দেশের পড়ুয়াদের জন্য মুখ খুলুন, এই অতিমারী আবহে যারা সত্যিই প্রচণ্ড সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে’, মন্তব্য নুসরতের। সাংসদের সাফ কথা, জেইই, নিট তো অপেক্ষা করতে পারে নাকি!
জেইই, নিট পিছনোর দাবিতে উত্তাল গোটা দেশ। দেশজুড়ে ক্রমাগত বড় থাবা ব সাচ্ছে অতিমারী। মারণ ভাইরাসের প্রকোপে যেখানে জনজীবন ওষ্ঠাগত, নেই যথাযথ স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো, এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জেইই এবং নিট পরীক্ষা হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? সেই প্রশ্ন তুলেই সরব দেশের পড়ুয়ারা।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভার্চুয়াল সভা মুখ্যমন্ত্রীর
স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন অভিভাবকমহলও। কারণ, এমন অতিমারী আবহে যেখানে নিজেদের সতর্কতার চাদরে মুড়ে রাখার কথা, সেখানে কিনা পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে! ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তারি এন্ট্রাস পরীক্ষা পিছনো ছাড়া উপায় কী?
এই দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও দেশের শীর্ষ আদালত তা নাকচ করে দিয়েছে। এমতাবস্থাতেই, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোদি সরকারের এই সিন্ধান্তের বিরোধিতা করে পরীক্ষা পিছনোর দাবি তুলে ইতিমধ্যেই ২ বার চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
করোনার কারণে এপ্রিল থেকে একাধিকবার পিছোনোর পর সেপ্টেম্বরের শুরুতে সারা দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে স্বাস্থ্যরবিধি মেনে নানা পদক্ষেপের কথা ঘোষণাও করা হয়েছে।
কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। শুরু থেকেই সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার দলনেত্রীর মতোই পড়ুয়াদের হয়ে এন্ট্রাস পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে সরব হয়েছেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান।