রেল বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বিক্ষোভে তৃণমূল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দলনেত্রীর নির্দেশ, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রী- বিধায়কদের। তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল লক্ষ্য রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের পাঁচিল গড়ে তোলা।

মঙ্গলবার এই নিয়ে ব্লকে ব্লকে পথে নাম তৃণমূল। যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে কলকাতার বুকে তো বটেই, রাজ্যের নানা প্রান্তে রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে পথে নামতে দেখা গেল রাজ্যের শাসক দলকে। তবে এই প্রতিবাদে কোথাও ২৫ জনের বেশি জমায়েত করা হয়নি।

এদিন সকালে রাজ্যের মন্ত্রীরা নিজ নিজ এলাকায় নেমে পড়েন রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে। এই সব মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন রাজীন ব্যানার্জী, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, জাভেদ খান, পরেশ পাল, সাধন পান্ডে প্রমুখরা।

এরা নিজ নিজ এলাকায় কোনও না কোনও রেলের কার্যালয় বা স্টেশনের সামনে এই বিক্ষোভ দেখান। কয়েক দিন আগেই তৃণমূলনেত্রী কর্মসূচি দেন রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে কলকাতা সহ রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন কার্যত সেই কর্মসূচীরই পালন করা হচ্ছে।

এদিন শুধু কলকাতা নয়, প্রতিবাদ হচ্ছে সারা বাংলা জুড়েই। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় তৃণমূলের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা মায় মন্ত্রীরাও এদিন দলের এই কর্মসূচী পালন করেন।

করোনা আক্রান্ত বারাসাত রেজিস্ট্রি অফিসের অফিসার সহ ৫ আধিকারিক

প্ল্যাকার্ড হাতে এদিন দলের কর্মী সমর্থকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখার পাশাপাশি দলের নেতা-মন্ত্রী-জনপ্রতিনিধিদের দেখা যায় মাইক হাতে বিজেপি সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিতে।

ঘটনাচক্রে এদিনই জানা গিয়েছে খরচ বাঁচানোর দোহাই দিয়ে রেল এবার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ওপর বড়সড় কোপ দিতে চলেছে। তুলে দেওয়া হচ্ছে অলাভজনক স্টেশনে লোকাল ট্রেন থামার ব্যবস্থা।

এমনকি অলাভজনক ট্রেন তুলে দেওয়ার পাশাপাশি স্টেশনও বন্ধ করে দিতে চলেছে রেল। এদিনের তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্যে প্রতিবাদে এই সব কিছু উঠে আসে।

সম্পর্কিত পোস্ট