ভোটের আগেই তৃণমূলের বিজয় মিছিল, সরব বিজেপি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই বিজয় উল্লাসে মেতে উঠল শাসকদল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের রাস্তায় বের হল তৃণমূলের বিজয় মিছিল।
বুধবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। দেখা যায় বজবজ পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ টি তেই বিরোধীরা কোনও প্রার্থীই দিতে পারেনি। বাকি ৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭ টিতে সিপিএম মনোনয়ন জমা দিয়েছে। বাকি ১ টি ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থী আছে।
অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হওয়ার আগেই বজবজ পুরসভার দখল নিল তৃণমূল। এই তথ্য সামনে আসতেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বজবজের রাস্তায় বের হয় বিজয় মিছিল।
যদিও সিপিএম ও বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের কারণেই তারা সবকটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেনি। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বজবজের ২০ টি ওয়ার্ডেরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, গত তিন-চার দিন ধরে প্রার্থীদের লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
এমনকি অনেকের বাড়িতেই ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এর জেরেই বেশিরভাগ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। সিপিএমের দাবি শেষ পর্যন্ত তাদের ৭ জন প্রার্থীকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে পেরেছিল। তারাই সাহস সঞ্চয় করে বুধবার আলিপুরে মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দেয়। এরপর বুধবার বিকেলে তাদের একজন প্রার্থীকে শাসক দলের পক্ষ থেকে অপহরণ করা হয়!
এদিকে বিজেপি প্রথমে ৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা বার করেনি। তাদের দাবি লাগাতার হুমকির মুখে পড়ে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি সাহস করে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই
ঘটনায় তারা ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা বজবজের ভারপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। বিরোধীদের দাবি এই তৃণমূল নেতার দাপটেই তাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের ঠিক করে দেওয়া দু’জন বৈধ প্রার্থীও মনোনয়ন জমা করতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে একই ছবি বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। সেখানে ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৩ টি তে মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছে সিপিএম। বাকি ১৩ টি ওয়ার্ডেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল। এক্ষেত্রেও শাসকদলের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূলের দাবি বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পায়নি বলেই তারা বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় পুরসভা দখল নিয়েছে।