ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল, আহত কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে রাজীব; কড়া হুঁশিয়ারী “শেষ দেখে ছাড়ব”

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সুপ্রিম নির্দেশের পরেও ত্রিপুরায় আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধীরা নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালত বিপ্লব দেব সরকারকে  ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। তার পরেও বিরোধীদলের ওপর হামলা অব্যাহত। আগরতলায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূলের অভিযোগ ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দলের পতাকা ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। যার জেরে চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। আক্রান্ত কর্মী বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার সকালে তাকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন আগরতলার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী শেখর দেববর্মা। সেইসময় অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক রেষারেষি শুরু হয়ে গিয়েছে ত্রিপুরায়।

এদিন জিবি হাসপাতালে শেখর দেববর্মাকে দেখে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় ফের বিজেপিকে এক হাত নিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও ত্রিপুরায় প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে দলীয় কর্মী সমর্থকদের। পুরভোটকে সামনে রেখে প্রচারে নেমেছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। অসভ্যতার কোন পর্যায়ে পৌঁছালে এরকম বর্বরোচিত আক্রমণ করা যায় তা আমার জানা নেই।

প্রশাসনের তীব্র নিন্দা করে তিনি জানান, শেখর দেববর্মার ওপর হামলা হওয়ার পরেও প্রশাসনের তরফে কোন সাহায্য করা হয়নি। আক্রান্ত হওয়ার বেশ কয়েক ঘন্টা পর তাকে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এইতো ত্রিপুরার অবস্থা। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বিপন্ন।

দক্ষিণবঙ্গে শীতের আমেজ আপাতত উধাও, সোমবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

এদিন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন তাহলে কি ত্রিপুরায় কোন বিরোধী দল প্রচার করতে পারবেনা?  সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও তাদের টনক নড়েনি। তার পরেও তারা বড় বড় কথা বলছে। ত্রিপুরায় বাইক বাহিনীর তান্ডব চলছে। প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে পতাকা। এদিন হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।

উল্লেখ্য, পুরভোটকে সামনে রেখে আগরতলা, সোনামুরা, আমবাসা, তেলিয়ামুরায় বাংলার ন’জন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই ৯ জনের মধ্যে ৫ জন বিধায়ক। এই পাঁচ বিধায়করা হলেন অরিজিৎ সিং, আমিরুল ইসলাম, খোকন দাস, নারায়ণ গোস্বামী ও অরিন্দম গুঁই। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে বাংলা থেকে পাঠানো হয়েছে। রাজীবের ওপর ত্রিপুরার দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

সম্পর্কিত পোস্ট