‘মান’ রাখতে পারবেন বিপ্লব? বিধানসভার আগে রাজ্যসভা ভোটে অ্যাসিড টেস্টের মুখে বিজেপি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আজ, মানে বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় রাজ্যসভার উপনির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মানিক সাহা। সেই আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে। এই উপনির্বাচনে বিজেপির জয় নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। কিন্তু বিপ্লব ‘মান’ রাখতে পারবেন কিনা সেটাই এখন চর্চার বিষয়।
বিপ্লব দেবকে হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। এরপর রাজ্য সভাপতি হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন তিনি। যদিও তাঁর সেই আর্জি শোনেননি অমিত শাহরা। উল্টে মাসখানেক আগে তাঁকে হরিয়ানার পর্যবেক্ষক করে দেওয়া হয়। তখনই বার্তা ছিল। এরপর রাজ্যসভায় প্রার্থী করার পর ত্রিপুরার বিপ্লব শিবির নিশ্চিত হয়ে যায় ‘দাদাকে রাজ্য থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে’।
ত্রিপুরা বিজেপিতে বিপ্লব বিরোধী শিবির প্রবল সক্রিয়। ফলে আজকের ভোটে শাসক শিবিরের ৪৩ টি ভোটই তিনি পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, হার নিশ্চিত জেনেই এই রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। তাদের হাতে মাত্র ১৫ টা ভোট আছে। আসলে বামেদের লক্ষ্য বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দকে বেআব্রু করে দেওয়া।
রাজ্যে প্রথম উপাচার্য গ্রেফতার! ২৬ সেপ্টেম্বর অবধি CBI হেফাজতে সুবীরেশ
৬০ সদস্যের বিধানসভায় সদ্য এক আইপিএফটি বিধায়কের পদ খারিজ হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে ৫৯ জন বিধায়ক আছেন। এর মধ্যে সুদীপ রায়বর্মণ উপনির্বাচনে দিতে কংগ্রেসের হয়ে খাতা খুলেছেন। তাঁর ভোট বাম প্রার্থী ভানুলাল সাহা পেতে পারেন। বাকি ৪৩ জন বিজে ও জোট শরিক আইপিএফটির বিধায়ক।
বিজেপির দুই জনজাতি বিধায়ক দিবাচন্দ্র রাঙ্খল ও বুর্বোমোহন ত্রিপুরা আবার সুদীপের অনুগামী বলে পরিচিত। বিপ্লব শিবিরের আশঙ্কা, এই দুই বিধায়ক সহ আরও দু-একজন বিপ্লব বিরোধী শিবিরের বিজেপি বিধায়ক হয় ভোট নষ্ট করবেন, নাহলে বাম প্রার্থীকে ভোট দেবেন!
ঘটনা হল, ৪৩ এর থেকে একটা ভোটও যদি বিপ্লব কম পান তবে তা তাঁর পক্ষে বিড়ম্বনার কারণ হবে। দলের অভ্যন্তরে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। এদিকে সিপিএম আত্মবিশ্বাসী যে তাদের প্রার্থী অতিরিক্ত ভোট পাবেই।