বিপ্লব দেব বনাম সুদীপ রায় বর্মণ দ্বন্দ্বে ভাঙনের মুখে বিজেপি ! কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে মুকুল ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে…

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দিনকয়েক আগেই বৈঠক ডেকেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সেই বৈঠকে হাজির হননি সুদীপ রায় বর্মন। বরং স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ওপর তার আস্থা এতটুকুও নেই। শুক্রবার ৪.৫০ মিনিট নাগাদ পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক চলে। এই বৈঠকে ৩৬ জন বিধায়কের মধ্যে গরহাজির ছিলেন ১০জন। ছিলেন না সুদীপ রায় বর্মন সহ তাঁর শিবিরের অনেকেই।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, ২০২৩ সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। ক্ষোভ-বিক্ষোভের এই আবহে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বুঝে নিতে চেয়েছিলেন আসলে সাংগঠনিক দিক থেকে বিজেপি ত্রিপুরায় কতটা শক্তি অর্জন করতে পেরেছে।

সুদীপ রায় বর্মন সহ তাঁর শিবিরের অনুপস্থিতি ভাল চোখে নিচ্ছে না ত্রিপুরা বিজেপি। সূত্রের খবর ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার দ্বারস্থ হতে চলেছে ত্রিপুরার রাজ্য বিজেপি। বিজেপির প্রদেশ কার্যালয় থেকে রবিবারের মধ্যেই সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির সুপারিশ পৌঁছে যেতে পারে বলে গেরুয়া শিবিরের অন্দমহল সূত্রে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন, আনা হতে পারে বিধান পরিষদ গঠন সংক্রান্ত বিল

ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি এবার চাইছে সুদীপ রায় বর্মন তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাই এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তৎপরতার চেয়ে সুপারিশ বলে জানানো হয়েছে ত্রিপুরা বিজেপি সূত্রে। শোনা গিয়েছে অসম সফরে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে সুদীপ রায় বর্মন নিজের বিপ্লব বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি তিনি দিল্লী ঘুরে এসেছেন।

রাজনৈতিক মহলের মতে সুদীপ রায় বর্মন চাইছেন বিপ্লব শিবিরকে চাপে রাখতে। এই কারণে খোলাখুলি পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি সুদীপ রায় বর্মন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ। সেই মুকুল রায় এখন তৃণমূলে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হতে পারে। মনে করা হচ্ছে হয়তো ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব বর্তাতে পারে মুকুল রায়ের ঘাড়েই। সেক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধ সুদীপ রায় বর্মন সহ তার গোষ্ঠীর ১০ জন বিধায়ক যদি তৃণমূলে যোগদান করেন, অচিরেই ত্রিপুরার মাটিতে শক্তি বৃদ্ধি করবে তৃণমূল।  এক কথায় বলা যেতেই পারে সুদীপ রায় বর্মন সহ ১০ বিধায়ক যদি দলত্যাগ করেন তাহলে ভেঙে যেতে পারে সরকার। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার গেরুয়া শিবিরের পরিস্থিতি যথেষ্ট টলোমলো তা বলাই যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট