অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই সরগরম ত্রিপুরা, তৃণমূল- পুলিশ খন্ডযুদ্ধে উত্তেজন টিলার রাজ্যে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগামীকাল ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনায় সরগরম পরিস্থিতি তৈরী হল। রবিবার সকালে হোটেল পোলাে টাওয়ারে হানা দিল পূ্র্ব আগরতলা থানার পুলিশ। উদ্দেশ্য, বাংলার যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষকে আটক করা। যদিও তাঁকে থানায় নিয়ে যেতে বাধা দেন কুণাল ঘোষ। তিনি সায়নীকে নিতে থানায় যাবেন বলে আশ্বাস দেন।
পুলিশের তরফ থেকে নিজের থানায় যাওয়ার কথা শুনে অবাক হয়ে যান যুব তৃণমূল নেত্রী। তিনি জানতে চান তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? এরপরেই হস্তক্ষেপ করেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
পুলিশের উদ্দেশে কুণালের প্রশ্ন, “আপনার ৪১ এ ধারায় নোটিশ এনেছেন যে সায়নীকে থানায় নিয়ে যাবেন বলছেন? নোটিশ ছাড়া সায়নীকে আমরা কোথাও যেতে দেব না। আগে নোটিশ দেখান।” এরপর কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পূর্ব আগরতলা মহিলা থানার উদ্দেশে রওনা দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় তাণ্ডব। হেলমেট পরে লাঠি নিয়ে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ইটবৃষ্টির পাশাপাশি, ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতে। তার আগে হাতে লাঠি নিয়ে থানার বাইরে জড়ো হয় কয়েকজন হেলমেটধারী। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে।
তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। লাঠি হাতে হেলমেট পরে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
এই প্রথমবার ত্রিপুরার পুরভোটে লড়াই করছে তৃণমূল। সেই নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে বারবার আক্রমণের মুখে পড়েছে তারা। এবার সরাসরি হোটেলে হানা দিল পুলিশ। যার জেরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের রাজনৈতিক চাপানউতোরের পারদ আরও চড়ল।
শনিবার রাতে প্রচার সেরে হোটেলে ফিরছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। গাড়িতে চালকের পাশের আসনেই বসেছিলেন তিনি। সেইসময় যানজটে আটকে যায় তাঁর গাড়ি। গাড়িতে পিছনের আসনে বসেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও সুদীপ রাহা।
গাড়িটি যানজটে আটকে যাওয়ায় আশেপাশের লোকেরা সায়নীকে দেখে হাত নাড়েন ও ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা তৃণমূল নেতা–নেত্রীরাও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশের তরফে অভিযোগ, ঠিক তখনই নাকি সায়নীর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হন।
সেই সূত্র ধরেই রবিবার পুলিশ তৃণমূল নেতা–নেত্রীদের হোটেলে হানা দেয়। সায়নী-সহ বাকি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। সায়নী-সহ প্রত্যেককেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।