লড়াইয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত, দায়িত্ব পেয়েই জানালেন সুবল ভৌমিক

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সদ্য বিধানসভায় ব্যাপক জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ আগামী বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরবর্তী লক্ষ্য অপর বাংলাভাষী এবং ককবরক রাজ্য ত্রিপুরা৷ দেবী পক্ষের শুরুতে উনকোটি দুর্গার দেশে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলের প্রধান অস্ত্র হিসাবে সুবল ভৌমিককে বেছে নিল তৃণমূল৷

মাত্র কয়েকমাস হয়েছে তৃণমূলের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন সুবল ভৌমিক। কিন্তু ত্রিপুরার ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক মানচিত্রটা খুব ভালো করে চেনেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ। দীর্ঘ দিন ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর এখন তৃণমূল কংগ্রেস৷

দলবদল করেই আক্রমণের শিকার হয়েছেন৷ বহু জায়গায় তাঁকে আক্রমণ করেছে শাসক দল৷ তবুও তাকে উপেক্ষা জারি রেখেছেন। সুবল ভৌমিকের মতো নেতার ওপর ভরসা রেখেই বিভিন্ন দল থেকে কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে এসে যোগদান করছেন।

নতুন দায়িত্ব পেয়ে দ্য কোয়ারিকে তিনি বলেন, আমাকে দায়িত্ব দেওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। ত্রিপুরার মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার, শান্তি ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন। আমাদের যুব আইকন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সহযোগিতা করছেন। আমি নিশ্চিত ত্রিপুরার মানুষ অধিকার ফিরে পাবে। সেই লড়াইয়ের জন্য আমায় যতটুকু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষ চাইছে। যাতে মানুষ মুক্তি পায়৷ ২০২৩ এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যাতে সরকার আসে৷ ২০২৪ এ কেন্দ্রে সরকার গঠন হয়৷

বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলে৷ ক্ষমতায় দিল্লিতে ওরা আছে। রাজ্যেও ওরাই আছে। ক্ষমতা দিয়েই ক্ষমতায় আসতে চাইছে। এই ধারণা নিয়ে ওরা চলছে। ওরা তো মানুষকে মানুষ ভাবছে না। ভাবছে ক্ষমতায় আছি যা খুশি করব। আমাদের সামনে প্রতিপক্ষ থাকবে না৷ প্রতিপক্ষ থাকলেও তাঁদেরকে পিষে মেরে ফেলব৷ আমাদের নেত্রীর নির্দেশে তার পুনরুদ্ধার করব। এর আগে যত অত্যাচার হয়েছে, মানুষ তার জবাব দিয়েছে। এরাজ্যে যারা মানুষকে ছোট করে ক্ষমতাকে বড় করে দেখছে তাঁরাও শিক্ষা পাবে৷

রাজ্যে ১৪৪ ধারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা অপরাধ এবং অনৈতিক৷ ১৪৪ ধারা জারি করে বিরোধীদের আটকানো সম্ভব নয়৷ ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশকে নগ্নভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর গাড়ি চালিয়ে পিষে দিয়ে প্রতিহত করা সম্ভব নয়৷ ওরা বোঝে ক্ষমতা পেয়েছি সব পেয়ে গেছি৷ আমরা ফ্যাসিস্ট কায়দায় সরকার চালাবো৷ কিন্তু ত্রিপুরার মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। এখানকার মানুষ সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে থাকতে জানে।

ফোনে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শুভজিত চক্রবর্তী

সম্পর্কিত পোস্ট