ত্রিপুরা পার্টিতে বড় ঝাঁকুনি দিল তৃণমূল, রাজ্য সভাপতিকে সরানো হল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বহু ঘাটের জল খাওয়া সুবল ভৌমিককে ভরসা করে তৃণমূলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল। কিন্তু দলীয় কর্মসূচির বিষয়ে তাঁকে বিশেষ একটা সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। উল্টে সুবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংগঠন করার থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার দিকে তাঁর নজর বেশি।
এরই মাঝে জল্পনা ছড়ায় খুব দ্রুত দল বদলাতে চলেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে আগরতলায় বড় দলীয় কর্মসূচি আছে। তার আগে খোদ রাজ্য সভাপতিকেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
কংগ্রেস দিয়ে রাজনীতিতে হাতে খড়ি হলেও হাওয়া বুঝে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুবল ভৌমিক। এর মাঝে ত্রিপুরা গ্রামীণ কংগ্রেস বলে নিজের একটি রাজনৈতিক দলও খোলেন। কিন্তু বরাবরের জনভিত্তিহীন নেতা হওয়ায় সেই নতুন দলকে পায়ের উপর দাঁড় করাতে পারেননি। তবে বিজেপিতে গিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি তিনি।
ফর্মুলা ‘গেহলট’, বাজিমাতের স্বপ্ন কংগ্রেসে
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে মতভেদের কারণে বিজেপি ছেড়ে দেন। তৃণমূল ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা শুরু করলে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে বড় নেতা হয়ে যান। তাঁকে রাজ্য সভাপতি করেন মমতা ও অভিষেক।
আগামী ২৯ আগস্ট আগরতলায় মহা মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি। কিন্তু সেই নিয়ে সাংগঠনিক প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে সেই সময় কার্যত বাড়িতে বসে ছিলেন সুবল ভৌমিক।
এই মেগা কর্মসূচির আগে রাজ্য সভাপতি পদে থাকাকালীন তিনি দল ছাড়লে স্বাভাবিকভাবেই তা তৃণমূলের পক্ষে বেশি বিড়ম্বনার কারণ হতো। তাই আগেভাগেই সুবলকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। আপাতত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেব তৃণমূলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির যাবতীয় কাজকর্ম দেখভাল করবেন।