রাজীবের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় বড় চমকের অপেক্ষায় তৃণমূল
দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাংলার বাইরে মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের একাংশে জল্পনা শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্বের আরেক রাজ্য ত্রিপুরায় আগামী বছর তৃণমূল সরকার গঠন করতে পারে। এই জল্পনা সত্যি হবে কিনা সেটা সময়ই বলবে। তবে তার আগে আর দু’দিন বাদে ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন, যাকে সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল বলে আখ্যা দিয়েছে রাজনৈতিক মহল।
এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কারা কেমন ফল করছে সেই দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক দলগুলি। পাশাপাশি ত্রিপুরার সাধারণ মানুষও এই বিষয়ে যথেষ্ট কৌতুহলী। কারণ ২০২৩ এর প্রথম দিকেই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার মাত্র ৬ মাস আগে আয়োজিত উপনির্বাচনে যারা ভালো ফল করবে বিধানসভায় বাজিমাতের ক্ষেত্রে তারা অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
ত্রিপুরার এই উপনির্বাচন আরেকটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এবার জয়ী হলে তবেই মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন মানিক সাহা। কিন্তু শেষ উত্তর-পূর্বের রাজনৈতিক সমীকরণ অনেক বদলে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা উপনির্বাচনে জিতবেনই সেটা জোর দিয়ে বলা বেশ কঠিন।
বালি পাচার নিয়ে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা
এদিকে বিধানসভার এই উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল তারা চারটি কেন্দ্রের প্রার্থী দিয়েছে। এই নির্বাচনকে তৃণমূল কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তা মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্বাচনী প্রচার কে ঘিরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
তবে এই উপনির্বাচনের লড়াইয়ে একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তিনি ত্রিপুরার দায়িত্বে আছেন। আগরতলায় থেকে তিল তিল করে সে রাজ্যে সংগঠন তৈরি করেছেন রাজীব।
এই উপনির্বাচনের প্রচারে নেমে চারটি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে একেবারে বাড়িতে বাড়িতে প্রচার সেরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির প্রবল অর্থ শক্তির সঙ্গে পাল্লা নয়, বরং সাধারণ মানুষের মন ছোঁয়ার জন্য যা যা করা দরকার সবই করে ফেলেছেন রাজীব। প্রচারে বেরিয়ে ভালো সাড়াও পেয়েছেন।
এই চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের একটিতেও যদি তৃণমূল জেতে সেটা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক বড় সাফল্য হবে। সেক্ষেত্রে ২৩ এর ফাইনালে আরও ভালোভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
তবে ভোট শতাংশ অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া বা বিজেপির সঙ্গে ব্যবধান কমানো এগুলোও যদি ঘটে তা হলেও সবাই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্য ধন্য করবে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে, এই উপনির্বাচনে তৃণমূল কতটা প্রভাব ফেলবে তা ভোটের ফল প্রকাশের পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে।