দিল্লিতে নাশকতার ছক বানচাল, গ্রেফতার ২ জইশ জঙ্গি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীপাবলীর পর দিল্লি পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় জঙ্গি হামলার হাত থেকে রক্ষা পেল রাজধানী। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সেই নাশকতার পেছনে হাত ছিল জইশ-ই-মহম্মদের।
সোমবার রাত ১০ টা বেজে ১৫ মিনিট। মিলিনিয়াম পার্কের কাছে সরাই কালে খান এলাকা থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় জানা গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা তারা।
আরও জানা গিয়েছে তারা জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত। দুই জঙ্গির কাছ থেকে দুটি সেমিঅটোমেটেড পিস্তল এবং দশ রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে।
জইশের সঙ্গে যুক্ত ওই দুই সন্দেহভাজনের নাম আব্দুল লতিফ মির ও মহম্মদ আশরফ খতানা। ২২ বছরের আব্দুলের বাড়ি বারামুলায়। বছর কুড়ির যুবক আশরফ কুপওয়ারার হাটমোল্লা গ্রামের বাসিন্দা।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছ, এর আগেও একবার তারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনা বাহিনীর তৎপরতায় সেই ছক বানচাল হয়ে যায়।
তবে গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এবার তাদের পরিকল্পনা ছিল দিল্লিতে বড়সড় জঙ্গি হানার। সেখান থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা।
এর আগেও অগাস্ট মাসে বড়সড় জঙ্গি হানা থেকে মুক্তি পায় দিল্লি৷ ইসলামিক স্টেট টেরোরিস্ট গোষ্ঠী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। জঙ্গিদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি ১৫ কেজি বিস্ফোরকও উদ্ধার করে পুলিশ।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/from-door-to-door-campaign-to-digital-propaganda-storm-bjp-waiting-for-bajimat-time-in-bengal/
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের তাজে হামলা চালায় লস্কর-ই-তৈইবা। ২৬ তারিখ শুরু হওয়া ধ্বংসলীলা শেষ হয়েছিল তিন দিন পরে। ২৯ নভেম্বর। টানা ন’বারের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ৩০০-রও বেশি মানুষ। মারা গেছিলেন ১৪৭ জন।
পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল জঙ্গি আজমল কাসভ। ২৬-২৯ ডিসেম্বর আততায়ীরা হামলা চালিয়েছিল ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, লিওপোল্ড ক্যাফে, তাজমহল প্যালেস হোটেল, হোটেল ওবেরয়, নারিমান হাউজ সহ একাধিক স্থানে।
আজমল কাসভকে জেরা করে জানা গিয়েছিল, পড়শি দেশ পাকিস্তান থেকে জলপথে এসেছিল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-এ-তৈবার ১২ জঙ্গি। তাদের কেউ ছিল বন্দুকধারী। কেউ আত্মঘাতী হামলাকারী। তবে সবার লক্ষ্য ছিল ভারতের শান্তি নষ্ট। ২০১২ সালে তাকে ফাঁসি দেয় ভারত সরকার।
প্রসঙ্গত, ২৬/ ১১ এর সেই জঙ্গিহামলার বারো বছর পূর্তির মাত্র কয়েকদিন বাকি। তার আগে দেশ জুড়ে কড়া নিরাপত্তার বলয় তৈরী করা হয়েছে। সোমবার রাতে রাজধানী থেকে জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনা বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।