৩০ ঘন্টা পরেও কাটছে না বিপদ, ভেন্টিলেশনে দুই পড়ুয়া
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ৩০ ঘন্টা পরেও বিপদ কাটছে না। ক্রমশ দিশেহারা হয়ে পড়ছে দুই পড়ুয়ার পরিবার। দ্রুত সুস্থ করে তুলতে গঠিত হয়েছে মেডিকেল টিম।
শুক্রবার হুগলীর পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় আহত হয় ১৬ জন পড়ুয়া। গুরুতর জখম হয় দুই ছাত্র ঋষভ সিংহ এবং দিব্যাংশু ভকত। ওই দিনই গ্রীন করিডোরে দুজনকেই হুগলী থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু ৩০ ঘন্টা পরেও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের সম্প্রীতির পোস্টার ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য বাবুলের, পাল্টা জবাব পার্থর
হাসপাতাল সুত্রের খবর, ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে ঋষভ এবং দিব্যাংশুকে। ঋষভের ফুস্ফুসে অতিরিক্ত পরিমাণ জল এবং কাদা প্রবেশ করায় কৃত্রিম ফুসফুসের মাধ্যমে অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে মাথায় সজোরে আঘাত পেয়েছেন দিব্যাংশু। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় বিপদ আরও গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইতিমধ্যেই আহত দুই ছাত্রের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সেই টিমে রয়েছেন চেস্ট মেডিসিন, কার্ডিয়ো-থেরাসিক, পেডিয়ার্টিক সার্জারি এবং নিউরো সার্জারি সহ সাত বিভাগের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা। কিভাবে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে দুই ছাত্রকে সুস্থ করা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে বসেছেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার আহত দুই ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে আসেন হুগলীর বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার মুখেই তাঁকে বাঁধা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। পরে অবশ্য দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
অন্যদিকে দুই ছাত্রের সঙ্গে দেখা করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারের তুলনায় দুই ছাত্রের শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এমনটাই জানালেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ হুগলীর পোলবায় একটি পুলকার দিল্লি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় নয়নজুলিতে পড়ে যায়। আহত হন ১৬ জন খুদে পড়ুয়া। তার মধ্যে দু’জন ঋষভ এবং দিব্যাংশুর অবস্থা ছিল আশংকাজনক। গ্রীন করিডোর করে তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।