অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে যশ মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিদ্যুৎ দপ্তর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আমফান থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগেভাগেই ময়দানে নেমে পরল বিদ্যুৎ দফতর। আমফানের পর গোটা রাজ্যের যেভাবে বিদ্যুৎ বিপর্যয় নেমে এসেছিল সেই একই অবস্থা যাতে যশের পর না হয় তার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন নয়া বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
গতবছর আমফানের পর রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় দীর্ঘক্ষন বিদ্যুৎ ছিল না। এবার সেকথা মাথায় রেখে মোট ছয়টি জেলায় ভেঙে প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর। এখনো পর্যন্ত যা খবর তাতে যশ আছেরে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলি-এই 6 টি জেলা।
এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এই ছটি জেলায় তিনটি হাই টেনশন গ্যাং এবং তিনটি লো টেনশন গ্যাং-কে তৈরি রাখা হয়েছে। যাতে ঝড় অতিবাহিত হওয়ার পর দ্রুত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা যেতে পারে। প্রতিটি গ্যাঙে ৬ থেকে ৭ জন করে বিদ্যুৎকর্মী থাকবে। এদের প্রত্যেককে ২৫ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা গুলির জেলাশাসকের অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আমফানের সময় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছিল কলকাতার। সে কথা মাথায় রেখেই প্রত্যেক ওয়ার্ডে দুটি করে গ্যাং প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বড় মই , ইলেকট্রিক কাটার সহ প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো জোগাড়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বাড়ি ফিরেই ভার্চুয়ালি বৈঠক শুরু ফিরহাদের, আজই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না সুব্রত-মদন-শোভন
এদিন বিদ্যুৎ ভবনে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, যশ নিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এবং সিএসসি কর্তাদের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ দফতর, সিএসসি, পুলিশ এবং পুরসভার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
যে কোনও অসুবিধাতে মানুষ যাতে পরিষেবা পায় সে কারণে 24 ঘন্টার দুটো কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এই কন্ট্রোল রুম সক্রিয় থাকবে 25 শে মে থেকে। কন্ট্রোলরুম দুটির নাম্বার: ৮৯০০৭৯৩৫০৩ /৮৯০০৭৯৩৫০৪।
মন্ত্রী ছাড়াও দপ্তরের সচিব এবং সেক্রেটারিরা ২৫ তারিখ থেকে দুদিন ধরে থেকে গোটা বিষয়টি দেখাশোনা করবেন। শনিবার থেকে বিদ্যুৎ দপ্তরের সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ঝড়ে যেসব জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তার একটা অনুমান করে দপ্তরের তরফে আঠারোশো পাঁচটি ইলেকট্রিক পোল, ২৫৫ কিলোমিটার তার এবং ৪৫০ ট্রান্সফর্মার তৈরি রেখেছে। এখন দেখার ঝড়ের পরে এই রাজ্যের চেহারা আদেও গতবছর আমফানের মত হয় কিনা।