পুরনিগমের তদারকিতে করোনা-বিধি মেনেই প্রতিমা বিসর্জন

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: অন্যান্য বছরের মতো এবার পুজোয় নেই কোনও উন্মাদনা। যতোটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সম্পন্ন হয়েছে দুর্গাপুজো। পুজোর পর শহরের বিভিন্ন ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জন।

এখানেও জোর দেওয়া হয়েছে করোনা-বিধির উপর। পরিবেশে দূষণ রুখতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। আর এই কাজে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে কলকাতা পুলিশ ও পুরনিগম।

পরিবেশের কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য-প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। সেই মতো তিনি প্রথম দিন সোমবার ঘাট পরিদর্শন করেন।

মঙ্গলবারও ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে বাবুঘাটে হাজির হন কলকাতা পুরনিগমের বিদায়ী মেয়র পরিষদ তথা বর্তমান প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য দেবাশিস কুমার।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/unlock5-held-in-november-end-coronavirus/

জানা গিয়েছে, প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার কলকাতার বেশিরভাগ প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছে। সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬০০ প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এ দিনও অনেকেই প্রতিমা বিসর্জন করেন।

এ দিকে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বিসর্জনের পর ঘাট পরিষ্কার করা হচ্ছে। কাঠামোগুলিকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন করার সঙ্গেসঙ্গেই পুরনিগমের তরফে ক্রেনের সাহায্যে কাঠামো তুলে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জল থেকে তুলে ফেলা হচ্ছে পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী, ফুল-বেলপাতা। অন্যদিকে পুরনিগমের গাড়ি মূর্তির কাঠামো ও ফুল বেলপাতাগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ধাপায়। একইসঙ্গে এক ঘণ্টা পরপর ঘাট ও সংলগ্ন এলাকাকে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। যাঁরা প্রতিমা বিসর্জনে আসছেন তাঁদের মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। এ দিন মঙ্গলবারও সকাল থেকে ঘাটগুলিতে প্রতিমা বিসর্জন করা হচ্ছে। মোট চারদিন ধরে এই কাজ চলবে বলে কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে।

করোনা-বিধি মেনেই যাতে সুষ্ঠুভাবে বিসর্জনের কাজ হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে।

এই কাজের জন্য অতিরিক্ত পৌরকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ, ডুবুরির পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন ঘাটে উপস্থিত রয়েছেন। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গঙ্গার ঘাটগুলিতে চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করেছে পুরনিগম।

সম্পর্কিত পোস্ট