মে মাসের পর রেকর্ড পরিমাণে বাড়ল বেকারত্বের সংখ্যা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ লকডাউন পর্বের ঘা সারিয়ে আনলক পর্বে সুস্থ হচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি। একাধিকবার দাবী করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

কিন্তু অফিসিয়াল এমপ্লয়িস প্রোভিডেন্ট ফান্ড অরগানাইজেশনের তথ্যে উঠে এলে অন্য ছবি। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে ইপিএফওতে নথিবদ্ধ সংস্থার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩০ হাজার। কর্মহীন হয়েছেন ১৮ লক্ষ মানুষ।

একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের সমস্ত কর্মসংস্থানগুলি চাঙ্গা হওয়ার জায়গায় বন্ধ হতে শুরু করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে ইপিএফও নথিবদ্ধ সংস্থা ছিল ৫,৩৪,৮৬৯ টি।

অক্টোবরে তা কমে হয়েছে ৫,০৪,০৪৪ টি। যা আগের তুলনায় প্রায় ৩০,৮০০ কম। সেপ্টেম্বরে ৪,৭৬,৮০,০০০ কর্মীর ইপিএফও নথিবদ্ধ হয়েছিল। অক্টোবরে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪,৫৮,২০,০০০ –এ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধুমাত্র ইপিএফও নথিবদ্ধ নয়, পেনশন তহবিলে আবেদনকারী সদস্যের সংখ্যা কমেছে ১৮ লক্ষ। মে মাসের পর কর্মী ও সংস্থায় রেকর্ড সংখ্যক পতন হয়নি বলে দাবী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

লকডাউনের পর থেকে ধীরে ধীরে যে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতি হচ্ছিল তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল। ফলে নতুন করে আবার প্রশ্নের মুখে দেশের অর্থমন্ত্রক।

গত মার্চ মাসে লকডাউনের কারণে তলানিতে ঠেকে দেশের অর্থনীতি। বন্ধ হয় বহু কর্মসংস্থা। কর্মহারা হন বহু মানুষ। কিন্তু আনলক পর্বে ফের সেই ক্ষত সারিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার পতন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/if-the-trinamool-wants-mim-is-ready-for-the-alliance-in-bengal/

অর্থনৈতিক সঙ্কোচনের কারণে এই পরিস্থিতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার খরচ বাঁচাতে আপাতত ইপিএফওর কাজ বাকি রাখা হচ্ছে অলে মনে করছেন অনেকেই।

লকডাউনের পর ধীরে ধীরে অর্থনীতির মাথা তুলে দাঁড়ালেও ভারতের জন্য আরও সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইপিএফও এবং ইপিএফের নম্বর তা প্রমাণ করে দিচ্ছে, শুধুমাত্র সরকারী সাহায্যের মাধ্যমে অর্থনীতির প্রগতি সম্ভব নয়।

লকডাউনের আগে থেকেই দেশের অর্থনীতিতে যে মন্দা চলছিল তারই সরাসরি প্রভাব পড়েছে লকডাউনের পর। আর এই বিপুল সংখ্যক বেকারত্বের সংখ্যা দূর করতে আরও সময় লাগতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট