মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর, আম্ফান নিয়ে রাজ্যকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস কেন্দ্রের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বুধবার রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে এদিয়ে আসছে অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়।
শেষ উপগ্রহ চিত্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রত্যাশা মতোই বাঁক নিয়ে আম্ফানের গতিপথের অভিমুখ এখন উত্তর-পূর্ব দিকে, অর্থাৎ বাংলার অভিমুখে। সেক্ষেত্রে দিঘা, কাকদ্বীপ বা সাগরদ্বীপের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে আম্ফান।
স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় আম্ফানের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৮৫ থেকে ১৯৫ কিলোমিটার। আম্ফানের তাণ্ডবলীলা হতে পারে ২০০৯ সালের আয়লার থেকেও ভয়ঙ্কর।
কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, গতিপ্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে ১৯৯৯ সালের পড় এত বড় ঝড় বঙ্গোপসাগরে আসেনি। এর দাপটে পুরো এলাকা তছনছ হয়ে যেতে পারে।
প্রভাব শুরু আম্ফানের, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে শুরু বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি
এখনও পর্যন্ত যা খবর এই প্রবল ঘূর্ণিঝড় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ সাত জেলায় তান্ডবলীলা চালাতে পারে। স্থলভাগে ধাক্কা মারার পরে্ তার গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার।
সবমিলিয়ে একদিকে আম্ফান ও অন্যদিকে করোনা সংকটের দ্বিফলার সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্য।
এই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে খোঁজখবর নিলেন অমিত শাহ। নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককেও ফোন করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন অমিত।
এদিন মূলত প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন,
- ‘কেন্দ্র আপনার পাশে আছে।ইতিমধ্যেই ২৫টি এনডিআরএফের টিমকে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে।
- রিজার্ভে তৈরি রাখা হয়েছে আরও ১২টি টিমকে।
- এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও ২৪টি টিমকে আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, কেন্দ্র সমস্তরকভাবে পাশে আছে।
- প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে।’
বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্র রাজ্যকে সব রকম সাহায্যে প্রস্তুত বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককেও ফোন করে একই আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ।
এ প্রসঙ্গে শাহ বলেন,এই অপদকালীন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সমস্তরকভাবে সাহযায্য করবে। প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে।
কংগ্রেসের উদ্যোগে ১২৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক ফিরলেন ঘরে…
এদিকে আয়লা বুলবুল থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য কিন্তু এই অবস্থায় চুপ করে বসে থাকেনি। ইতিমধ্যেই দিঘা, হলদিয়া ও সুন্দরবনের উপকূল এলাকা থেকে লোক সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রশসন।
করোনা সতর্কতায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের কথা মাথায় রেখেই সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে এসে রাখা হচ্ছে মানুষদের।
ইতিমধ্যেই ১০ হাজারের বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে। দিঘায় সৈকতে টহল দিচ্ছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলাNDRF টিম।
মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে সবাইকে। হলদিয়া বন্দরে নজরদারি চালাচ্ছে কোস্টগার্ড।
তাড়াতাড়ি পণ্য খালাস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জাহাজগুলিকে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।