সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার জোড়ালো সম্ভবনা, একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিএসএফ (BSF)-এর সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাতের মাঝেই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা (Ajay Valla)। শুক্রবার রাজ্যে আসছেন তিনি। নবান্নে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা ও ডিজি মনোজ মাল্যব্যের সঙ্গে।

কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ জারি হয় আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে যে রাজ্যে সেখানে বিএসএফ-এর কাজের এলাকা হবে ৫০ কিলোমিটার। যার তীব্র প্রতিবাদ জানায় পশ্চিমবঙ্গের (Westbengal ) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি (Charanjit singh Channi)। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। আর সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করতে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা।

পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সীমান্তে বাংলাদেশ। সেই জায়গায় বিএসএফ-এর কাজের জায়গা আরও বাড়ানো হয়েছে। সেই জায়গায় কীভাবে রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে বিএসএফ তা বোঝাতেই রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্রসচিব।

কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী অসম ও পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত শেয়ার করছে, আর পঞ্জাব, পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। এই তিনটি এলাকাতেই বিএসএফ-এর কাজের এলাকা ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করা হয়েছে।

ত্রিপুরায় সরকারকেই বিরোধীদের প্রচারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে: সুপ্রিম কোর্ট

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো ও অনুপ্রবেশ আটকাতেই এই পদক্ষেপ। যদিও তা মানতে নারাজ পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এটা গণতন্ত্র বিরোধী বলেই তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পঞ্জাব বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করেছে কংগ্রেস সরকার।  সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে পঞ্জাবকে রক্ষা করব। কেন্দ্রের চক্রান্ত মানব না।

সম্পর্কিত পোস্ট