লাগাতার দুর্নীতিতে ক্ষুব্ধ বিচারপতিকে নাম না করে নজিরবিহীন আক্রমণ কুণালের
দ্য কোয়ারি ওয়েবেডেস্কঃ শিক্ষা দুর্নীতি মামলা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য। এরইমধ্যে সরকারের ভূমিকায় বিচার ব্যবস্থার ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। বেআইনিভাবে শিক্ষক পদে নিয়োগের কারণে যাদের চাকরি চলে যাচ্ছে তাদের কাজে বহাল রাখতে ‘নিউমেরিক’ পদ, অর্থাৎ নতুন শূন্য পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএসসি ও রাজ্য সরকার।
আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সরকার অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু তাতেও রাজ্য সরকার বাতিল হওয়াদের চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শুক্রবার এজলাসে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি।
শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দুর্নীতিগ্রস্থদের পাশে থাকলে গোটা ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব।” এরপরই সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “আমি কি নির্বাচন কমিশনকে বলব তৃণমূলের প্রতীক বাতিল করে দিতে?”
মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে শুভেন্দু, সৌজন্যের রাজনীতিতে পঞ্চায়েত ভোটটা নির্বিঘ্নে হবে কী?
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “একজন মঙ্গল গ্রহ থেকে এসে অরণ্যদেব সাজতে চাইছেন। চেয়ারের ক্ষমতাবলে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা পূরণের চেষ্টা করবেন না। বিচারকের চেয়ারে বসে রাজনৈতিক বক্তৃতা বন্ধ হোক।”
হাইকোর্টের বিচারপতির উদ্দেশ্যে কুণাল ঘোষের বিষোদগার এখানেই থামেনি। এরপর বলেন, “কেউ আমাদের দল তুলে দেওয়ার কথা বললে আমরা কি তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াব?” তৃণমূল মুখপাত্রের এই মন্তব্যে বিচারপতির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারির সুর স্পষ্ট। এখন প্রশ্ন হল, হাইকোর্টের বিচারপতির রায় বা মন্তব্য পছন্দ নাই হতে পারে। তা বলে এভাবে কি হুঁশিয়ারি বা শাশানো যায়? এটা আদালত অবমাননা নয় তো?