কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেড ঘিরে অশান্ত দিল্লি, মৃত এক কৃষক

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির ভিতর ট্র্যাক্টর র‍্যালি করেন প্রায় দুই মাস ধরে আন্দোলনরত কৃষকরা। কিন্তু সময় যতই এগোতে থাকে পরিস্থিতি ততই বেগতিক হতে শুরু করে।

একটা সময় লালকেল্লার দখল নেন কৃষকরা। দিল্লির ভিতরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার কারণে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান। ৪৫ জন কৃষককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

একজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যদিও বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে দাবী করেছেন পুলিশ। ইতিমধ্যেই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে সকল কৃষককে আন্দোলনস্থলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  একজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। একজন পুলিশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হরিয়ানা, পাঞ্জাবে জারি হাই এলার্ট।

মঙ্গলবার সকালের ঘটনার পর দিল্লির একাধিক প্রান্তে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। গোটা ঘটনা নিয়ে দিল্লি পুলিশ প্রধান এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন সমস্ত স্তরের রাজনৈতিক নেতারা।

এছাড়াও রাজ্যের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বৈঠকে বসেন দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার আধিকারিকরা। বৈঠকে বসেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর।

আরও পড়ুনঃ রণক্ষেত্র দিল্লি, লালকেল্লায় পৌঁছলেন কৃষকরা

গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা। তিনি বলেন, কয়েকটি ঘটনা ছাড়া অন্যান্য জায়গায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার দিল্লির ভিতরে আন্দোলনের জন্য রবিবার অনুমতি দেয় দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের তরফে দিল্লির ৩ টি রাস্তা বরাদ্দ করা হয়। এমনকি ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর ট্র্যাক্টর প্যারেড হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ৮ টা থেকেই শুরু হয় প্যারেড।

শুরুতেই সিঙ্ঘু এবং টিকরি বর্ডারে ব্যারিকেড সরিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন কৃষকরা। আইটিও র কাছে একজন কৃষকের মৃত্যু হয়। মৃত কৃষকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিতে রাজি হননি কৃষকরা। পরিবর্তে সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন কৃষকরা।

বেশ কিছু জায়গায় পুলিশকে লাঠি চার্জ এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকে মেট্রো স্টেশনগুলি। এরপর লালকেল্লা দখলে নেন কৃষকরা। কৃষকদের তরফে আলাদা করে পতাকা লাগানো হয়। পুলিশের তৎপরতায় পরে তা ছত্রভঙ্গ করা হয়।

বেশ কিছু অসামাজিক ব্যক্তি ঢুকে পড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে দাবী করেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতারা। নাহলে এদিন আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবী করেন তাঁরা। কৃষকদের তরফে বলা হয়, শান্তি হল আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। যে কোনও ঘটনা অশান্তি আন্দোলনকে ব্যহত করতে পারে। প্রায় ৬ মাস ধরে আন্দোলন করছেন তাঁরা। যার মধ্যে ৬০ দিন দিল্লির বাইরে আন্দোলন করেছেন কৃষক নেতারা।

সম্পর্কিত পোস্ট