কৃষক আইনের সমর্থন জানালো আমেরিকা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দিল্লির উপকন্ঠে আন্দোলনরত কৃষকদের আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। একাধিক টুইটের ঝড়ে যখন সারা বিশ্বে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে, তখন কেন্দ্র সরকারের পক্ষ নিল আমেরিকা।
বুধবার আমেরিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন উন্নত গণতন্ত্রের পরিচয়। তবে নতুন কৃষি আইনের ফলে উপকৃত হবেন কৃষকরাই। একইসঙ্গে বিদেশী বাজারে বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থাৎ সব মিলিয়ে আমেরিকার স্পষ্ট বার্তা ভারত সরকার কৃষি ক্ষেত্রে যে বদল এনেছেন তা কৃষকদের জন্যেই। এর ফলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
যদিও যে কোনোরকম বদল একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই আসবে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার মুখপাত্র। এর থেকে স্পষ্ট হয় কেন্দ্র সরকারের পক্ষে সহমত পোষণ করেছেন নয়া প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন। এর ফলে কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে ভারতের নতুন কৃষি আইন নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন আমেরিকার বেশ কিছু সদস্য। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন অনেকেই। সরকারের উচিত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান সূত্র বের করা।
আরও পড়ুনঃ আরও কঠোর নিরাপত্তা সিঙ্ঘু বর্ডারে
এমনকি যেভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যেভাবে সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে। এমনকি কৃষকদের সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভাইঝি মীনা হ্যারিস।
যদিও কৃষক আইন নিয়ে এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেন ব্রিটেন। এই বিষয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে আলোচনার পরেই পক্ষ নেবে বরিস জনসনের সরকার। জনমতের মাধ্যমেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাইছেন বরিস জনসনের সরকার।
বিগত ৭০ দিনের ওপর ধরে দিল্লির উপকন্ঠে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। একাধিকবার বৈঠকের পরেও মেলেনি কোনও সমাধান। তাই প্রবল ঠান্ডার মধ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। আইন প্রত্যাহার না করা অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতারা।
অন্যদিকে ২৬ জানুয়ারি ঘটনায় দিল্লির ভিতরে অশান্তি ছড়ানোর পর নিরাপত্তা আরও কড়া করেছে প্রশাসন। বসানো হয়েছে কাঁটাতার। ব্যবহার করা হয়েছে কংক্রিটের ব্যারিকেড। বেশ কিছু জায়গায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পানীয় জল এবং বিদ্যুতের পরিষেবা।
গোটা ঘটনায় ৬ তারিখ দেশজুড়ে ৩ ঘন্টা ‘চাক্কা জাম’ কর্মসুচী রেখেছেন কৃষক নেতারা। সরকার কৃষকদের দাবী মেনে না নিলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন করবেন। সাফ বার্তা আন্দোলনরত কৃষকদের।