উত্তর দিনাজপুরঃ আগামী বিধানসভায় জেলার নয়া সমীকরণ বাম-কং জোট
আকাশ চৌধুরী
দাড়িভিটে ছাত্রখুন এবং অতিসম্প্রতি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু রাজ্য রাজনীতিতে পারদ চড়িয়েছে।উত্তর দিনাজপুরের মানুষ দাড়িভিটের ছাত্র খুন এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারেননি।
এই জেলা থেকেই একসময়ে প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ও সিপিঅএম নেতা মহম্মদ সেলিম রায়গঞ্জ লোকসভা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই দুই নেতার সংসদীয় বক্তব্য এখনও সংসদের লাইব্রেরিতে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। ২০১৪-২০১৯ এই পাঁচ বছরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে মহম্মদ সেলিম যেভাবে আক্রমণ করেছিলেন তা দেশবাসী দেখেছে।
এই জেলার রাজনৈতিক সুনাম সুপরিচিত ছিল। ২০১১ ও ২০১৬ এই দুটি পর্যায়ে বর্তমান সভাপতি কানইলাল আগরওয়াল,বর্তমান চেয়ারম্যান অমল আচার্য, প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী- এদে্র অন্তর্কলহ কাঁপন ধরিয়েছিল দলের ভিতরে।
যা দেবশ্রী চৌধুরীর মত আনকোরা মুখকে গেরুয়া শিবিরের হয়ে জিততে সাহায্য করছিল।
বর্তমানে দেবশ্রী কেন্দ্রের মন্ত্রী। কিন্তু তার বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ রয়েছে জেলার মানুষের। তাই উত্তর দিনাজপুরের মানুষ, ২১ এর ভোটে বিকল্প মুথের খোঁজ চালাচ্ছে। সেই বিকল্প মুথ বাম-কংগ্রেস জোট। যদি ভোট হয় তাহলে তৃণমূলের কপালে দুর্ভোগ আছে বৈকি।
ইসলামপুর, গোয়ালপোথর, চাকুলিয়া,করণদিঘী, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ এই সাতটি বিধানসভার ১৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫২৬ জন ভোটার শাসকদলের কার্যকলাপে এতটাই বিরক্ত তা নেত্রী জানলেও সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বারবার।
জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, এই জেলার প্রাক্তন অবসার্ভার শুভেন্দু অধিকারী সাংগাঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
দক্ষ প্রশাসক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ব্রাত্য়, মৌসমের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তো মালদা?
গরুপাচার, সিন্ডিকেট, তোলাবাজি, পুলিশ দিয়ে দল চালানো- শাসকদলের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগের ফলে পুরোনো অনেক মুখ বীতশ্রদ্ধ হয়ে চুপ করে বসে গেছে। এটাই তৃণমূলের হারের মূল কারণ।
পিকের দাওয়াই, মমতার ডোজ. উত্তরদিনাজ পুরের হার্টের রোগ সারাতে পারবে না। সময় থাকতে থাকতে খোদ নেত্রী যদি রাশ না ধরে, তাহলে এই জেলার ফলাফল বিজেপি নয় বাম-কং জোট সমীকরণ গড়ে দিতে পারে।
এখনো বিকেল হয়নি। সূর্যের আলো থাকতে থাকতে মমতাকেই নামতে হবে উত্তর দিনাজপুরের মাটিতে। এই আপ্তবাক্যটি ধ্রুব সত্য, এটাই বাস্তব। দল যে খাদের কিনারায় পৌঁছেছে, তারজন্য দায়ী মমতা নয়, দায়ী জেলা নেতৃত্ব।