মৃত ১৪ জন, নিখোঁজ ১৭০ জন, আট বছর পর ফের বিষাদময় উত্তরাখণ্ড

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় হিমবাহ ফেটে আলোকানন্দায় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের জেরে ভেসে গিয়েছে বিস্তর এলাকা। ভেসে গিয়েছে তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুত কেন্দ্রের একটি অংশ। ভেঙে গিয়েছে পাঁচটি ব্রিজ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট। এখনও অবধি ১৪ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে।

ঘটনার পর থেকে উদ্ধারকাজে নেমছে এনডিআরএফ এবং আইটিবিপি পুলিশরা। এমনকি নামানো ছয় কোম্পানি স্থল সেনা এবং সাত কোম্পানি ভারতীয় নেভি।

সূত্রের খবর, ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুত কেন্দ্রে ১৭০ জন কাজের জন্য নিযুক্ত ছিলেন। তাঁদের সকলেই এখন নিখোঁজ। প্রায় আড়াই কিলোমিটার টানেলের মধ্যে আটকে ছিলেন ৩০ জন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদেরকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।

এখনও অবধি ১২ জনকে উদ্ধার করেছেন আইটিবিপি টিম। প্রবল ঠান্ডার সঙ্গে জলের প্রবাহ এবং কাদার সঙ্গে লড়াই করে এই কাজ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
তপোবনের কাছে একটি টানেলের কাছে এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন এসডিআরএফ।

ভূতত্ত্ববীদরা জানিয়েছেন, জলস্তর না কম অবধি অপেক্ষা করতে হবে তাঁদেরকে। এরপর উদ্ধারকাজ সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার এয়ারফোর্সের তরফে জানানো হয়েছে হিমপ্রবাহ ভেঙে জলোচ্ছ্বাসের জেরে তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুত কেন্দ্র একেবারে ধুয়ে গিয়েছে। ধৌলিগঙ্গা এবং ঋষিগঙ্গাতেই এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছিল।

যোশীমঠে তুষার ধ্বসের জের, বন্যায় ভেসে গেল প্রচুর ঘরবাড়ি

ছোট রাস্তাগুলির সঙ্গে সংযোগকারী সমস্ত রাস্তাগুলিকে সংযোগকারী ব্রিজ গুলি ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে ১৩ টি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানে আকাশপথে খাদ্য সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রবিবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। মৃতের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা সহ প্রধানমন্ত্রী ত্রান তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এছাড়াও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট