২০২২ বিধানসভা নির্বাচন, যোগী রাজ্যে একাধিক দলীয় কার্যালয় খুলল তৃণমূল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বঙ্গ বিজয়ের পর এবার লক্ষ্য দিল্লীর সিংহাসন। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক শিবির। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আগেই দলীয় কার্যালয়ে খুলেছে তৃণমূল।

এবার উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকায় পার্টি অফিস খুলল ঘাসফুল শিবির। যোগী রাজ্যের রাজধানী লক্ষ্মৌতে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের পার্টি অফিস ছিল। এবার বরেলি, মোরাদাবাদ, আলিগড়, আগ্রা, গোরক্ষপুর, আজমগড়, বারাণসী, মির্জাপুর, এলাহাবাদে দলীয় কার্যালয় খুলল তৃণমূল।

২০২২ এ যোগী রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। করোনা থেকে শুরু করে নারী নির্যাতন,  বেহাল অর্থনীতি থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের অভাব একাধিক ইস্যুতে রীতিমতো কোণঠাসা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশজুড়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তুমুল নিন্দা করেছে সমাজের সকল স্তরের মানুষ।

এই পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই যোগী প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই সংগঠন বৃদ্ধির কাজ শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

রাজ্যে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে শাসক শিবির। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াকে সক্রিয় করে তুলতে রীতিমতো ঝাড়াই বাছাই শুরু হয়ে গিয়েছে দলেরই অন্দরে।

শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে চালু হয়েছে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি। খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে বেশকিছু জেলায় সংগঠন রদবদল করা হবে।

তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, “কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, দুয়ারে রেশনের মত প্রকল্পের প্রচার ছাড়াও এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। শাসক শিবির টিএমসি ফর ত্রিপুরা, টিএমসি ফর আসাম, টিএমসি ফর মনিপুর, টিএমসি ফর উত্তরপ্রদেশ, টিএমসি ফর মহারাষ্ট্র, টিএমসি ফর ঝাড়খন্ড, টিএমসি ফর বিহার, টিএমসি ফর ওড়িশা সহ একাধিক পেজ থেকে নিয়মিত সেইসব প্রচার করা হচ্ছে।”

বর্তমানের যুবসমাজকে টার্গেট করেই সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে শাসকদল। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে নতুন প্রজন্মের ওপর বাড়তি জোর দেওয়া হবে।

উত্তরপ্রদেশের তৃণমূলের অন্যতম নেতা নিরজ রাই জানান, বাংলার নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যদুস্ত করে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তৃণমূলের এই ব্যাপক জয় নিয়ে উৎসাহিত উত্তরপ্রদেশের মানুষ। তাই এখানে সংগঠন বৃদ্ধি করতেই পার্টি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসক শিবির।

সম্পর্কিত পোস্ট