টিকা নিয়ে প্রহসন চলছে রাজ্য জুড়ে, শাসকদলকে নিশানা করে তোপ বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শনিবারের পর আজ সোমবার শুরু হয়েছে প্রথম দফার দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ। দিকে দিকে টিকা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিরোধীরা। এবার টিকাকরণ নিয়ে সরব হলেন শিলিগুড়ি পৌরসভার পুরপ্রশাসক ও বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য।
তাঁর কথায়, টিকা নিয়ে চলছে প্রহসন। টিকা আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনীতি। প্রথমে করোনার টিকা নেওয়ার কথা ছিল প্রথম শ্রেনীর যোদ্বাদের। কিন্তু কারা নিলেন এই টিকা? সেই উত্তর আমরা সবাই জানি।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত ছিলো কারা প্রথমে টিকা নেবেন তা জনসমক্ষে জানানো। তা তো করা হলই না। উলটে হুড়োহুড়ি করে টিকা নিতে গিয়ে পুরো সিষ্টেমটাই খারাপ করে দিলো। তাঁর মতে, শিলিগুড়িতে হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ থেকেই একমাত্র টিকা দেওয়া উচিত। নাহলে সমস্যা কমবার চাইতে বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
আজ শিলিগুড়িতে দ্বিতীয় দফার টিকা দেওয়া হবে। সেখানেও একই অবস্থা হবে বলে মনে করছেন শিলিগুড়ি পুরসভার বর্তমান প্রশাসক।
অন্যদিকে রবিবার শিলিগুড়িতে শহরবাসীর সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
NIA-র সমন কৃষক নেতাকে, প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর র্যালিতে অনড় কৃষকরা
তাঁর কথায়, ‘বাসিন্দারা বিভিন্ন সমস্যার কথা বললেন। তাদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ রয়েছে। এভাবে জনসংযোগ করতে আসার ফলে মানুষের সমস্যার কথা শুনতে পারছি। মানুষের সব সমস্যার সমাধান এখনই করা সম্ভব নয়।তবে যতটা সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করব’।
অন্যদিকে রবিবার বাম-কংগ্রেসের জোটের ভবিষ্যত ও আসন বন্টন নিয়ে রবিবারই বৈঠকে বসেছিলেন দুই দলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বৈঠকে কোনো রফাসূত্র বের হয়নি। যতই নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানোতর। জলঘোালা হচ্ছে পাহাড়ের রাজনীতি নিয়েও।
সম্প্রতি বামফ্রন্টের জোট সঙ্গী দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকারের সঙ্গে বৈঠক করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। এরপরই অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করবেন এমনটাই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য জানান, রাজনৈতিক দিক থেকে বিমল গুরুং ও রোশন গিরির সঙ্গে দেখা করার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে যে কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে পারে। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে বিমল গুরুং ও রোশন গিরির সঙ্গে দেখা করার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। এছাড়া বিমল গুরুং যে দেখা করবেন সেই প্রস্তাবও এখনও আসেনি। সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারের জন্য যদি কেউ আসে তবে জনপ্রতিনিধি হিসাবে দেখা করব’।