প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেখে মুষড়ে পড়েছে গোটা উপত্যকা

তারিক আলি মীর

কাশ্মীর ব্যুরো চিফ, দ্য কোয়ারি

শনিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহের একগাল দাড়ি ভর্তি ছবি প্রকাশ্যে আসে। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠে সেই ছবি। সেই ছবি দেখে গোটা উপত্যকাবাসীর অবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ার মত। বহুদিন পর সরকার কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার পর, নিজের ছবি নিজেই প্রকাশ করেন ওমর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

গত বছর ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ঠিক তার আগের দিন ৪ অগাস্ট থেকে বন্দি অবস্থায় ছিলেন ওমর আবদুল্লাহ সহ কাশ্মীরের একাধিক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। তখন থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের কনিষ্ঠতম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কোথায় ছিলেন তা জানত না গোটা দেশ।

দীর্ঘ দিন ধরে একটানা বন্দি থাকার পর যখন ওমরের প্রথম ছবি দেখে গোটা দেশ যখন উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, তখনই গেরুয়া শিবিরের কিছু সংবেদনশীল মন্তব্য গোটা দেশকে ভাবিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুধুমাত্র ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু রেজর তো সরকার ব্যান করেনি”।

সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করে তামিলনাড়ুর বিজেপি টুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপনার এরকম অবস্থা দেখে আমরা খুবই দুঃখিত। এদিকে আপনার অন্যান্য অসৎ বন্ধুরা বাইরে তাঁদের জীবন উপভোগ করে চলেছেন। দয়া করে আমাদের আন্তরিকতা গ্রহণ করবেন এবং ভবিষ্যতে কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে আপনি কংগ্রেস দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।  যদিও বিজেপির এই টুইটকে নিন্দনীয় বলে দাবী করেছে সোশ্যাল মাধ্যম।

আরও পড়ুনঃ শাহিনবাগের ভিড় আপনার বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ধর্ষণ করবে, নির্বাচনী প্রচারে মন্তব্য বিজেপি সাংসদের

অথচ ২৩ জুলাই ২০০১ থেকে ২৩ ডিসেম্বর ২০০৩ অবধি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর এনডিএ সরকার থাকাকালীন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ওমর আবদুল্লাহ। ১৯৯৮ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদে উপস্থিত হন তিনি। কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে প্রযুক্তিগত দিকে থেকে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এই প্রথমবার প্রায় ৬ মাস পর টুইট করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “দেখে চিনতে পারছি না এটা ওমরের ছবি। ভারতের মত গণতান্ত্রিক দেশে এই ঘটনা দেখে আমি ভীষণভাবে দুঃখিত। এইসব কবে বন্ধ হবে?”

সম্পর্কিত পোস্ট