লখিমপুর কান্ডে পদ্ম বিরোধীতায় ‘হাত’-র সমর্থন, তাহলে কী বড় ভাঙনের মুখে যোগী সরকার?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  ২০২২ -র বিধানসভা নির্বাচন উত্তরপ্রদেশে। ইতিমধ্যেই কৃষক আন্দোলন সহ একাধিক ইস্যুতে কোণঠাসা যোগী সরকার। তারই মাঝে লখিমপুরের ঘটনা আরও বেকায়দায় ফেলেছে বিজেপিকে। লখিমপুর কাণ্ডে যমুনা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। এই মুহূর্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশ।

এবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের ঘটনায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে যোগী সরকারের বিরোধিতা করলেন বরুণ গান্ধী। যে গাড়ি কৃষকদের পিষে দিয়েছে ,সেই গাড়ির চালককে অবিলম্বে গ্রেফতারের জানিয়েছেন তিনি।এই নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। সেই চিঠিতে যোগী সরকারের পুলিশকে তুলোধোনা করেছেন।

তাঁর কথায় এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলেকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। একইভাবে তিনি জানিয়েছেন কৃষকদের যেভাবে পিষে মারা হলো সেই ভিডিও দেখে অবিলম্বে গাড়ির মালিককে শনাক্ত করা হোক।

গান্ধী পরিবারের ছেলে হয়েও বরাবরই ভারতীয় জনতা পার্টিতে থেকে কাজ করেছেন বরুণ গান্ধী ও তাঁর মা মানেকা গান্ধী। একাধিকবার বিজেপি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তারা। বিগত কয়েকদিনে লখিমপুর কাণ্ডের পর বরুণের গলায় বেসুরো সুর শোনা গিয়েছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, লখিমপুর কন্ঠে যেভাবে বিকে তুলনা করছেন রাহুল গান্ধী তাতে প্রচ্ছন্ন মদত যুগিয়েছে বরুণ গান্ধী। শুধু তাই নয় লখিমপুর কাণ্ডের পর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে রাজনৈতিক দলের পরিচয় সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।

তারপর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছে। হয়তো রাহুল গান্ধীর হাত ধরে পারেন বরুণ। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যদি যোগদান করেন বরুণ গান্ধী, তা নিঃসন্দেহে বড় ভাঙ্গন হবে গেরুয়া শিবিরে।

সম্পর্কিত পোস্ট