রাজ্যপালের সামনে অর্ধনগ্ন হয়ে বিক্ষোভ বৃত্তিমূলক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা কারিগরি ভবনের উল্টোদিকে রাস্তার পাশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। আজ তাদের অবস্থান বিক্ষোভ ১৩ দিনের পড়ল।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আজ নিউটনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় রাজ্যপালের সামনে অর্ধনগ্ন হয়ে থালা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বৃত্তিমূলক শিক্ষকরা।
বেশ কয়েকটি দাবি-দাওয়া নিয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষক শিক্ষিকারা সম্প্রতি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন দাবি-দাওয়া না মানা হলে তারা অবস্থান বিক্ষোভ শামিল হবেন।
সেই মতো আদালত তাদের ১৫ দিনের অনুমতি-ও দেয়। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা কারিগরি ভবনের উল্টোদিকে রাস্তার পাশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। আজ তাদের অবস্থান বিক্ষোভ ১৩ দিনের পড়ল।
আরও পড়ুনঃ পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জের, রাজ্যপাল ছাড়াই শুরু হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান
১৩ দিনের মাথায় তারা জানতে পারেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর নিউটাউনের একটি কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন। নিজেদের দাবি দাওয়া রাজ্যপালের সামনে তুলে ধরতে এরপরই তারা অর্ধনগ্ন অবস্থায় থালা হাতে নিয়ে রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ হয়ে বসে পড়েন।
রাজ্যপাল সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি লক্ষ্য করেন। এরপরই ঘটনাস্থলে আসেন টেকনোসিটি থানার পুলিশ। এরপরই পুলিশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
বৃত্তিমূলক যৌথ মঞ্চের দাবীর প্রস্তাবঃ
১) পার্ট টাইম ও কন্ট্রাক্টচুয়াল প্রথার বিলোপ করে শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের স্থায়ী পদ গঠন।
২) সকলের জন্য ১২ মাস এর বেতন। নিয়োগের সময়ে উল্লিখিত নূন্যতম যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস।(শিক্ষকদের ‘গ্রুপ বি’, প্রশিক্ষকদের ‘গ্রুপ সি’ এবং নৈশ প্রহরীদের ‘গ্রুপ ডি’ – এর পদমর্যাদা ও বেতন)।
৩) কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিক নিয়োগ কমিশন গঠনের মাধ্যমে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ চালু করা।
৪) সাধারণ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সমান সুযোগ সুবিধা আমাদের বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের প্রদান। এরইসঙ্গে নবম ও দশম শ্রেনীতে ভোকেশনাল চালু করা এবং VIII+ এর স্বল্পমেয়াদী কোর্স গুলিকে ১ বছরে রূপান্তরিত করা।