পৃথক রাজ্যে ইস্যুতে উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ, সংঘাতের আবহেই দিল্লি ফেরত ধনকর পাড়ি দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিতে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সফর বাতিল করেছেন। অন্যদিকে সোমবারই কলকাতায় তৃণমূল ভবনে এসে আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আগামীকাল উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রবিবার বিকেলে রাজ্যপালের টুইটারে জানানো হয়েছে সোমবার তিনি রওনা দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে। আগামী সাতদিন তিনি উত্তরবঙ্গে থাকবেন। ২১ জুন ১.৪০ মিনিটে বাগডোগরা পৌঁছবেন তিনি। সেখান থেকে কালিম্পং হয়ে দার্জিলিং যাবেন ধনকর। সূত্রের খবর, বাগডোগরায় সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

একদিকে যখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারবার টুইটে রাজ্যকে নিশানা করছেন ধনকর, সেখানে উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গের এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে রাজ্য ভাগের এই ইস্যুকে কোনভাবেই সমর্থন করছে না বিজেপি। সেকথা শনিবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

খাগড়াগড়ের জিয়াউলের সঙ্গে কালিয়াচকের আসিফের যোগসূত্রের খোঁজে তদন্তকারী বিভাগ

আলিপুরদুয়ারের সাংসদ যখন রাজ্য ভাগের ইস্যুতে সরব,  তখনই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ওই জেলারই জেলা সভাপতি। আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সূত্রের খবর সাংসদের এই দাবিকে কোনভাবেই তারা সমর্থন করছেন না। তাছাড়াও রাজ্যভাগের এই ইস্যুকে ভালোভাবে নেবে না রাজ্যের আমজনতা। এই ইস্যুতে ব্যাকফুটে যেতে পারে বিজেপি।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা এবং রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার রিপোর্ট জমা দিতে মূলত দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।

উল্লেখ্য এর আগে রাজ্যপালের সঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহ ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক সাক্ষাৎ করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে যে সমস্ত বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া তাদের বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ রাজ্য সরকার যাতে নেয় সে বিষয়ে তারা রাজ্যপালের কাছে দরবার জানান।

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, ৩৫৬ ধারা যেসব কারণে জারি হয়ে থাকে বাংলার পরিস্থিতি তার থেকেও খারাপ। রাজ্য সরকার সংবিধান, আইন কিছুই মানছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফরে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট