আলাদা করে লড়াই করলেও সংবিধানের রক্ষার্থে সবাই লড়ছি, মমতার পাশে চিদম্বরম

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সরব গোটা দেশ। শুরু থেকেই প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরের বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্যতম বিরোধী মুখ হিসাবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তাল কাটল গত ৮ তারিখ।

বামেদের ডাকা বন্‌ধকে ঘিরে গোঁসা করে বসলেন তৃণমূল নেত্রী। ১৩ তারিখ দিল্লিতে বিরোধী দলের বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গেলেন না সেই অনুষ্ঠানেও।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের ধাঁচ দেখে তাঁকেই পাশে চাইছে কংগ্রেস। বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হননি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। সেটাই শনিবার কলকাতার কংগ্রেস সদর দফতর থেকে বুঝিয়ে দিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।

আরও পড়ুনঃ রাহুল গান্ধী সংসদে থাকায় সুবিধা হয়েছে নরেন্দ্র মোদিরঃ রামচন্দ্র গুহ

এমনিতেই ১৩ জানুয়ারির সোনিয়া গান্ধীর ডাকা নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুর বৈঠকে উপস্থিত হননি ৬ টি বড় দল। উপস্থিত ছিল সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি এবং শিবসেনার মত শক্তিশালী রাজনৈতিক দলগুলি।

এদিন এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি রাজ্যকেই স্থানীয় রাজনীতির স্বার্থে অনেককিছু করতে হয়। কিন্তু সেজন্য বৃহত্তর চিত্র ভোলা যাবে না। যারা সংবিধানের জন্য লড়াই করতে চায় তাঁদের সকলকে একসঙ্গে আসা উচিত। আমি আশাবাদী সকলেই আসবে। তিনি আরও বলেন, কিছুদল আমাদের সঙ্গে আসেনি। কিন্তু তাঁরাও লড়াই জারি রেখেছে। আলাদা করে লড়াই হলেও সেটা লড়াই।

এদিন গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়াও করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, বিজেপি বুঝতেই পারছে না বিরোধীদের শক্তি কতদূর অবধি বিস্তৃত। সারা দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে,পড়ুয়ারা আন্দোলনে নেমেছে, বাড়ির মহিলারা পার্ক সার্কাসে এসে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে আন্দোলন আরও সুদৃঢ় করার ডাক দেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট