দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ৪৭ শতাংশ, মরশুমি ফল ও সব্জি চাষে ব্যপক সমস্যা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি ঘাটতি অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাষ দেওয়ায় বিভিন্ন জেলায় কৃষি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ৪৭ শতাংশ। আগামী দিনেও বৃষ্টি ঘাটতি অব্যাহত থাকলে ধান পাটের পাশাপাশি মরশুমি ফল ও সব্জি চাষ নিয়েও সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও অগাস্টে বৃষ্টির পরিস্থিতি আশানুরূপ হবেনা বলে মনে করা হচ্ছে। বেশিরভাগ জেলায় ঘাটতির সম্ভাবনা। কিছু জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু সেই বৃষ্টি আগস্টের শেষের দিকে হলে চাষের কোনও লাভ হবে না।
রাজ্যের কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আষাঢ় পেরিয়ে গেলেও বহু চাষি এখনও ধান রোপণ করতে পারেননি, অনেকের বীজতলা শুকিয়ে নষ্ট হয়েছে। আবহবিদদের দেওয়া মানচিত্র বলছে, দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হবে। শুধু বাংলাদেশ লাগোয়া কিছু জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। তাতে সার্বিক ঘাটতি কমবে না।
নতুন মন্ত্রীদের বুধবার শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল
চাষের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৫ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমন ধান রোপণের কাজ চলে। রোপণের সময় যত পিছোবে, তত উত্পাদন মার খাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে থাকে ফসল তোলার সময় বৃষ্টির মুখোমুখি হওয়ার বিপদ। যাকে বলে পাকা ধানে মই। ফলে অগস্টের ২০ তারিখের মধ্যে ঝেঁপে বৃষ্টি না নামলে রোপণ ব্যাপক ভাবে মার খাবে।
আমন ধান পাকতে দেরি হলে আলু চাষ পিছিয়ে যাবে।তাতে ফলন মার খেতে পারে।এমত অবস্থায় রাজ্যের কৃষি দফতর ক্ষুদ্র সেচ পরিকাঠামো মজবুত করার ওপর জোর দিচ্ছে। কৃষকদের অল্প জল ব্যবহার করে ব্যবহার করে চাষের পদ্ধতি শেখানোর পাশাপাশি জল অপচয় কম করার ব্যপারেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন,প্রতিদিন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। সর্বত্র বিকল্প সেচের ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।রাজ্য সরকার সবসময় কৃষকদের সবরকম সহায়তায় প্রস্তুত।যেখানে যেধরণের সহায়তা প্রয়োজন তা করা হবে।