সবুজ বদলে গেরুয়া আবিরে রাঙাচ্ছে বাঁকুড়া

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১১ সালের আগে অবধি বামেদের দাপট ছিল গোটা জঙ্গলমহল জুড়ে৷ কিন্তু হাওয়া বদলে সেখানে ওঠে তৃণমূলের ঝড়। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদিবাসী সেন্টিমেন্ট এবং জঙ্গলমহলের উন্নয়নের দাপটে টানা ১০ বছর গোটা জঙ্গলমহলে আড়ে বহরে বেড়েছে তৃণমূলের সংগঠন।

কিন্তু সময় বদলে শাল-পিয়ালের জঙ্গলে বেড়েছে পদ্ম ফুলের চাষ। এখন আদিবাসী সেন্টিমেন্টকে উস্কে দিয়ে জঙ্গলমহলে এখন চলছে মোদি লেহের। আর তাতে গা ভাসিয়েছে বাঁকুড়া।

গত লোকসভা নির্বাচনে এই জেলার দুটি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। যার ফলেই অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। জেলায় সংগঠন পুনুরুদ্ধারে মাঠে নেমেছেন তৃণমূলের প্রথম সারীর নেতারা। বেশ কিছু কেন্দ্রে প্রার্থী বদলে চমক আনতে চেয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিযোগ বিধায়করা সেভাবে সক্রিয় নন। এমনকি করোনার সময়েও অনেককে দেখা যায়নি। তবে কি সেই ক্ষোভই ইভিএমে উগরে দেবেন আম জনতা?

রাজনৈতিক মহলের মতে,বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়েই ১০০ শতাংশ জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামলেও, জেলার ১২ টি আসনের মধ্যে অধিকাংশ আসনে এগিয়ে থাকবে বিজেপি। মাত্র ১ টি আসন পেতে পারে সংযুক্ত মোর্চা। কয়েকটিমাত্র আসনে জয়লাভ হবে তৃণমূলের৷

নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল কমিশন

স্থানীয় সূত্রে খবর,এলাকায় তৃণমূল নেতৃত্বের জীবনযাপন চোখ টানিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের থেকে জনসংযোগের দুরত্ব বেড়েছে যা একেবারেই ভালো চোখে নিচ্ছেন না তাঁরা।

অন্যান্য জেলার থেকে এই জেলার মানুষের শিক্ষা এবং সংস্কৃতির রুচিশীলতার থেকে আলাদা। যা ইদানিং কালের তৃণমূলের সঙ্গে মিল খায় না বলে মনে করছেন অনেকেই। অভিযোগ, এলাকার বহু শাসক দলের নেতৃত্ব একাধিক অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত।

একইসঙ্গে বেশ কিছু তৃণমূলের বেশ কিছু নীচুস্তরের নেতারা ক্ষোভের কারণে দল ছেড়েছেন। ফলে শক্ত হয়েছে বিজেপির ভীত। আবার হিন্দু-মুসলিম ভোট অঙ্কে এই সমস্ত এলাকাগুলিকে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা বেশী হওয়াতে বিজেপির পালে হাওয়া দিয়েছে।

যদিও ভোট অঙ্কের রঙ মেলান্তি দেখা যাবে ২ মে ফলপ্রকাশের পরেই। ঠাকুর পরমহংসদেবের গড়ে কীসের হাওয়া? শেষ চালে বাজিমাত করবে কারা। নজরেও থাকবে।

সম্পর্কিত পোস্ট