West Bengal Assembly Election:নন্দীগ্রামবাসীর অনুমতি নিয়েই বুধবার মনোনয়ন জমা দেবেন মমতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হওয়ার পর প্রথমবার নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবারের নির্বাচনে সবথেকে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র নিঃসন্দেহে নন্দীগ্রাম ৷
স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে প্রার্থী ৷ আর তাঁর বিপরীতে বিজেপি শিবির থেকে লড়ছেন, তাঁরই এক কালের রাজনৈতিক সঙ্গী শুভেন্দু ৷
আগের বার যখন নন্দীগ্রামে এসেছিলেন, তখনই তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রাম থেকে তিনি ভোটে লড়বেন ৷ নেত্রী কথা রেখেছেন ৷ বিশ্বস্ত শোভনদেবের হাতে ভবানীপুরের দায়িত্ব ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ছেন ৷
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলন যে তাঁর বাংলার তখতে আসার সিঁড়ি আরও শক্ত করেছে তা আজ বারবার মমতার বক্তৃতা থেকে উঠে এসেছে ৷ বললেন, “ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম ৷”
এবারের বঙ্গভোট আগের নির্বাচনগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা ৷ ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটের উপর এতদিন মমতার একাধিপত্য ছিল বললে খুব একটা ভুল বলা হয় না ৷ কিন্তু এখন তাতেও ভাগাভাগি হচ্ছে ৷
অন্যদিকে নন্দীগ্রামের হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর মাঝেই প্রথমবার প্রার্থী দিতে চলেছে সিপি(আই)এম। একইসঙ্গে শোনা যাচ্ছিল এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারে আইএসএফ। যদি আব্বাস সিদ্দিকী প্রার্থী দেন তাহলে কতটা থাবা বসাবেন মমতার সাধের মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে, তা এখন থেকে বলা মুশকিল ৷
আরও পড়ুনঃ West Bengal Assembly Election: শুভেন্দুর সঙ্গে মনোনয়নে থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী!
এদিকে বিজেপিও হিন্দুত্ববাদের তাস বের করতে শুরু করেছে বাংলায় ৷ অনেকেই বলছেন বাংলার রাজনীতিতে এখন সাম্প্রদায়িকতার কালো মেঘ ৷ এই পরিস্থিতিতে নিজের ধর্মনিরপেক্ষ ইমেজ তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টা দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ৷
বললেন, “অনেকে ভাগাভাগির কথা বলবেন ৷ আমি ৭০-৩০ বলব না ৷ আমি ১০০ বলব ৷” অর্থাৎ, বারবার বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে তিনি শুধু মুসলিম বা শুধু হিন্দুদের কথা বলেন না ৷ তিনি রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কথা ভাবেন ৷ তাঁর সঙ্গে যেন হিন্দু কার্ড খেলার দুঃসাহস বিজেপি না দেখায়, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে গেলেন মমতা ৷
এর আগে দিল্লি থেকে আসা বিজেপি নেতাদের বারবার বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা ৷ এবার নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগে তাঁর নামে বেশ কিছু পোস্টারও পড়েছিল ৷ যাতে লেখা ছিল, নন্দীগ্রাম তার ভূমিপুত্রকেই চায়, বহিরাগতদের চায় না ৷
বহিরাগত বলতে যে এখানে তৃণমূলের সুপ্রিমোকে বোঝানো হয়েছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ সেই পোস্টারের কথা যে মমতার কান পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে, সেই কথাও আজ তাঁর কথায় স্পষ্ট ৷ নেত্রীকে আজ বলতে শোনা গেল, যদি নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁকে নিজেদের ঘরের মেয়ে বলে মনে করেন, তবেই তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন ৷
নন্দীগ্রামে তিনি যে একটি বাড়ি এক বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছেন সেই কথাও জানিয়ে দিলেন তিনি ৷ প্রতিশ্রুতি দিলেন, প্রতি তিন মাসে একবার করে আসবেন ৷ পরে নিজের একটি কুঁড়েঘর করে নেবেন বলেও নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে বললেন তিনি ৷
এতদিন তিনি যে ভবানীপুর থেকে লড়েছেন, সেই ভবানীপুরের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে এনে আগামীদিনে নতুন কেন্দ্রকেও মডেল নন্দীগ্রাম করার প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ আশ্বাস দিলেন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়েরও ৷