West Bengal Assembly Election: ছেলেক নিয়ে বিজেপিতে সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ৮০ বছরের উর্দ্ধে কাউকে প্রার্থী পদে মনোনীত করবে না তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর যারা সম্ভাব্য তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।

কালীঘাটের দলীয় কার্যালয় থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বর্ষঈয়ান রাজনীতিবীদ। তাঁরই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে মনোনিত করা হয় বেচারাম মান্নাকে। সেদিন থেকেই জল্পনা শুরু হয় তবে কি বিজেপির পথে হাঁটবেন মাস্টারমশাই?

সোমবার সেই জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করে যখন নিজের ছেলেক নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে বিজেপি যোগের জল্পনা উড়িয়ে দেননি।

আরও পড়ুনঃ নির্বাচন ঘোষণা হতেই তোলপাড় মালদহ, জেলাপরিষদের প্রায় ২১ জন বিজেপির পথে

হুগলী জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়ে অবগত রাজনৈতিক মহল। সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এক সময় প্রকট হয়। এমনকি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বেচারাম মান্না। পরে সুব্রত বক্সি তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। সেবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মাঠে নেমে সামাল দিলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানো যায়নি।

তৃণমূলের প্রারথিপদে সিঙ্গুর থেকে বেচারাম মান্নাকে নির্বাচিত করায় তা ফের প্রকট হয়। বয়সের দোহাই দেখিয়ে প্রার্থী না করায় মনঃক্ষুন্ন হন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। মাস্টারমশাই জানিয়ে দেন এবারের নির্বাচনে বেচারাম মান্নার হয়ে প্রচার করতে পারবেন না তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেকারণেই বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন তিনি।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সিঙ্গুরের মাটিতে শিল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। কিন্তু পরবর্তীকালে তা হয়নি। বরং সিঙ্গুর থেকে প্রার্থী হিসাবে জয়ী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে। দীর্ঘ সময় গুরুত্ব পাওয়ার পরেও হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন সিঙ্গুরের আম জনতার।

১৯ এর নির্বাচনের ফলাফলের পর মাস্টারমশাইয়ের মতো ব্যক্তি বিজেপিতে গেলে সিঙ্গুরে পদ্মচাষের ফায়দা হবে গেরুয়া শিবিরের। এবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তুবিজেপিতে গেলে আশি উর্দ্ধ মাস্টারমশাইয়ের অবস্থা লালকৃষ্ণ আদবানীর মতো হবে না তো? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট