West Bengal Assembly Election- বিজেপিতে তণুশ্রী, সোনালী, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের, খেলা হবে-আমি স্ট্রাইকার পদ্ম হাতে মন্তব্য দিপেন্দুর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। দলের অন্দরে রক্তক্ষরণ অব্যাহত। দল ছাড়লেন ২১ এর নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পাননি এমন ৪ বিদায়ী বিধায়ক সহ মালদার হবিবপুরে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী সরলা মুর্মু সহ জেলাপরিষদের ১৪ জন সদস্য। ফলে মালদা জেলাপরিষদে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় মালদা জেলাপরিষদ এখন বিজেপির দখলে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেডে জনসভার পরের দিনই হেস্টিংসের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বিকেল থেকে শুরু হয় যোগদান মেলা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চওড়া হতে থাকে তৃণমূলের অন্দরের ফাটল।

বিজেপিতে যোগ দিলেন, অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। বিদ্রোহী বিধায়ক সিঙ্গুরের রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলেও যোগ দিলেন বিজেপিতে। সকলের প্রিয় বিধায়ক মাস্টারমশাই যিনি ২০০১, ২০০৬, ২০১১, এবং ২০১৬ পরপর চারবার তৃণমূলের টিকিটে সিঙ্গুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন।

West Bengal Assembly Election: ছেলেক নিয়ে বিজেপিতে সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই

তাঁর বয়স প্রায় ৯০ এর দোড়গোড়ায়। তাই বয়সের কারণেই ২১-র নির্বাচনে দল টিকিট দেয়নি তাঁকে। পরিবর্তে সিঙ্গুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী হন বেচারাম মান্না।তাতেই দলের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।

বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক দিপেন্দু বিশ্বাস যোগ দিলেন বিজেপিতে। কারণ টিকিট দেয়নি দল। তাই এলাকায় পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এদিন যোগ দিয়েই দিলীপ ঘোষকে বললেন খেলা হবে। আমি স্ট্রাইকার।

সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালী গুহ ওরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩২ বছরের সঙ্গী এবার দল ও প্রিয় দিদির প্রতি অভিমানে যোগ দিলেন বিজেপিতে। কারণ সোনালীকে নির্বাচনে টিকিট দেয়নি দল। তিনিও চারবারের বিধায়ক।

বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি জানালেন, প্রথম দিনেই বিজেপি এত সম্মান দেবে ভাবিনি। তবে আমি কৈলাশ বিজয়বর্গীকে জানিয়ে দিয়েছি আমি নির্বাচনে লড়তে চাই না। দলের প্রচার করব।

আত্মবিশ্বাসের সুরে সোনালী বললেন, আমাকে তৃণমূল টিকিট দিলে নিশ্চিত জয়ী হতাম। রেকর্ড হয়ে যেত। আমার সম্মান জ্যোতি বাবুর সম্মানের সমান হয়ে যেত। দল বোধহয় সেটাই চায়নি।

যোগ দিয়েছেন সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার। শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ীও ক্ষোভ উগড়ে বিজেপিতে। এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী মনোজ তিওয়ারী। উত্তর 24 পরগনা থেকে জেলাপরিষদের দুই সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, টিকিট না পেয়ে ভোটের মুখে দলবদবল কোনো ভাবেই মানুষ মেনে নেবে না।  তাদের এলাকায় এতই যদি জনপ্রিয়তা তাহলে কেন নির্দল প্রার্থী হয়ে তাঁরা লড়লেন না?

ওয়াকিবহল মহলের মতে, প্রশ্ন উঠছে বর্ষীয়ান বিধায়ক জটু লাহিড়ী,  রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়েও। যারা জীবনের বেশীরভাগ সময়টাই তৃণমূলের পদে থেকে কাজ করে গেলেন, আজ তাঁরাই বিজেপিতে ! বিষয়টা কী শুধুই  মান সম্মানের নাকি রয়েছে পদের লোভ। যদি তাঁরা বিজেপির টিকিটে দাঁড়ান তাহলে ভোটবাক্সে জবাব দেবে আমজনতা।

সম্পর্কিত পোস্ট