পাশে থাকার বার্তা তেজস্বী অখিলেশের, কমিশনের কৌশল নিয়ে সরব মমতা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার ব্রিগেডে তিনি যাননি। তখনই বোঝা গিয়েছিল, তেজস্বী যাদব আছেন মমতার দিকেই। সোমবার সরাসরি নবান্নে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে বৈঠক সারেন তেজস্বী। দ্বর্থহীন ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন বাংলার ভোটযুদ্ধে তেজস্বী মমতাকেই সমর্থন করছেন।

তৃণমূল নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে তেজস্বী জানান, ‘‌বাংলায় হিন্দিভাষী রয়েছেন অনেকে। বিহারীও রয়েছেন। তাঁরা থাকবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দিকেই। দেশজুড়ে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। তাই বিজেপিকে হারাতে বাংলার শাসকদলের সঙ্গে আমরা আছি। যেভাবে বলবে, সেভাবেই থাকব মমতার সঙ্গে।

রবিবার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর এদিন বিকেল চারটে নাগাদ নবান্নে হাজির হন লালু পুত্র। তার সঙ্গে ছিলেন তার দলের অন্যান্য নেতারাও। নবান্নের নিচে তাকে স্বাগত জানান ফিরহাদ হাকিম। সেখান থেকে সরাসরি চলে যান ১৪ তলায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আধ ঘণ্টা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তেজস্বী যাদব জানিয়ে দেন,রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় জনতা দল, আরজেডি তৃণমূল কংগ্রেসকে পূর্ণ সমর্থন করবে।

দেশকে ভাঙার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।সে কারণে এরাজ্যে তিনি সমস্ত আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের সমর্থনের আহ্বান জানান তিনি। এখানে তার দল আলাদা প্রার্থী দেবে না বলেও তেজস্বী জানিয়েছেন।

বুধবারই প্রকাশিত হবে তৃণমূলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা

এরাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করলেও তার কোন প্রভাব বিহারে বাম-কংগ্রেস-আরজেডির জোটের ওপরে পড়বে না বলেও তার দাবি।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,‘‌ বিহারে ষড়যন্ত্র করে তেজস্বীকে হারানো হয়েছে। আজ নয়ত কাল বিহারে তেজস্বী সরকার গড়বেই।’‌ এরপরই মমতা ‌বলেন, ‘‌আমরা চাইব নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করুক।’‌

এদিকে এদিনই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে মমতার অবস্থানকে সমর্থন করে তিনি আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলনেত্রীকে বিভিন্ন ব্যাপারে হেনস্থা করতেই এটা বিজেপি–র ‘কৌশল’।

তিনি এর থেকে তার দলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি মমতাকে ভোট দিয়ে তৃণমূলকে ফের ক্ষমতায় আনার বার্তাও দিয়েছেন অখিলেশ। তাঁর কথায়, ‘‌মমতাজি ঠিকই বলেছেন, বেশি দফায় ভোট করানো বিজেপি–র পুরনো রণনীতি। যত বেশি দফায় ভোট করানো যায়, নির্বাচনে সমস্যা তৈরি করাও তত সহজ হয়ে যায়। আর বিজেপি সেটাই করতে চায়।’

পাশাপাশি মমতার কাছে অখিলেশের আর্জি, ‘আট দফা ভোট নিয়ে আপনি যেমন প্রশ্ন তুলেছেন, তেমনই বুথে রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের উপস্থিতি নিয়েও সতর্ক থাকুন। কেন্দ্রীয় বাহিনী কিন্তু এই এজেন্টদের বুথ থেকে বার করে দেবে। সে ক্ষেত্রে কোনওভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।’

“আমরা যখন তৃণমূলের হয়ে ভিন রাজ্যে প্রচার যেতাম, তখন বহিরাগত ছিলাম না?” – মমতাকে প্রশ্ন রাজীবের

মোটের উপর এদিন বিহার উত্তরপ্রদেশের দুই বিরোধী নেতার সমর্থন কোনো সন্দেহ নেই মমতার মনোবল আরো বাড়াবে।

সম্পর্কিত পোস্ট