সিবিআই নিয়ে বিহার, ভোট রাজনীতি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে তুলনায় বাংলা; এ কী হাল!

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এই তো কিছু বছর আগের কথা, তখন‌ও ভারতীয় রাজনীতিতে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) একটা অন্যরকম জায়গা ছিল। অন্য রাজ্যের নেতারা নিজেদের মধ্যে আড্ডা দেওয়ার সময় বারবার বলতেন আর যাই হোক বাংলার নেতাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা যাবে না।

এখানে বিধানসভা ভোটে দুর্নীতির ইস্যু অচল, জাতপাতের রাজনীতিও কাজ দেয় না। ওখানকার মানুষ কেমন একটা যেন, শুধু পড়াশোনা-শিক্ষা বোঝে! কিন্তু দেখতে দেখতে চোখের সামনেই সবটা কেমন যেন বদলে গেল। এখন আর স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নয়, দুর্নীতি জাতপাত নিয়ে বাংলার তুলনা হচ্ছে অন্য রাজ্যের সঙ্গে।

নানান কারণে সম্প্রতি একের পর এক ঘটনায় আদালতের নির্দেশে রাজ্যে সিবিআই তদন্ত (CBI Investigation) শুরু হয়েছে। এটা সব রাজ্যেই হয়ে থাকে। কিন্তু অতি অল্প সময়ে যেভাবে একের পর এক ঘটনার তদন্ত ভার রাজ্য পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে দিচ্ছে আদালত তার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আর এই বিষয়ে বাংলার তুলনা শুরু হয়েছে লালু জামানার বিহারের (Bihar) সঙ্গে।

BS Yeddyurappa : ইয়েদ্দুরাপ্পা হঠাৎই মুসলিম দরদী, কর্নাটকে বিপাকে বিজেপি

লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন প্রথম যখন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন সেই সময় এইভাবে একের পর এক ঘটনায় আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এদিকে বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি যে ভালোমতো জাঁকিয়ে বসেছে তা শেষ দু-তিনটি নির্বাচনে মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে গো-বলয়ের রাজ্যগুলির সঙ্গে তুলনা চলছে বাংলার।

তবে এর জন্য যদি শুধু শাসক দলকে দোষ দেওয়া হয় তবে তা ভুল হবে। রাজ্যের এই সার্বিক অধঃপতনের দায় সকলের। বিরোধীরাও এই কলুষ থেকে মুক্ত নয়। কারণ জাতপাতের রাজনীতি কারোর একার দ্বারা সম্ভব নয়। বাকিরাও সেই তালে নিজের সুবিধামতো করে তাল মেলায় বলেই পশ্চিমবঙ্গ তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে ব্যর্থ। সে দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের মতোই একটিতে পরিণত হওয়ার দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট