বাংলার সদস্য সংখ্যায় ধস, পার্টি কংগ্রেস শুরুর আগে সিপিএমকে স্বস্তি দিচ্ছে তামিলনাড়ু-রাজস্থান
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: সিপিএমের শেষ পার্টি কংগ্রেস হয়েছিল ২০১৮ সালে। তার পরের বছরই লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে তারা মুখ থুবরে পড়ে। চার বছর পর বুধবার থেকে কেরলের কান্নুরে শুরু হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ কমিউনিস্ট পার্টির ২৩ তম পার্টি কংগ্রেস। কিন্তু তার আগে যে সাংগঠনিক রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে বাংলায় দলের বেহাল অবস্থা স্পষ্ট।
২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতা হারানোর পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের সদস্য সংখ্যায় ধস নেমেছে। তা এবারেও অব্যাহত। ২০১৮ সালে ২২ তম পার্টি কংগ্রেসের পর বাংলায় সিপিএমের সদস্য সংখ্যা আরও কমেছে।
যে বাংলায় দীর্ঘ ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে রেকর্ড করেছিল সিপিএম, সেখানে দলের যখন এই বেহাল দশা তখন আশার আলো দেখাচ্ছে দক্ষিণের তামিলনাড়ু বা উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজস্থান। তামিলনাড়ুতে গত চার বছরে রেকর্ড সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে সিপিএমের।
দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে সাংগঠনিকভাবে সিপিএম এখন বেশ শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে তামিলনাড়ুতে সিপিএমের দু’জন সাংসদ ও দু’জন বিধায়ক আছে।
মরু রাজ্য রাজস্থানে গত এক দশক ধরেই ক্রমশ শক্তি বাড়িয়েছে সিপিএমের কৃষক সংগঠন সর্বভারতীয় কিষাণ সভা। আমরা রামদের নেতৃত্বে সেখানে এবার মূল দলের সদস্য সংখ্যাতেও ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটেছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে সফল কৃষক আন্দোলনের ফলেই রাজস্থানের প্রান্তিক কৃষকদের একটা বড় অংশ লাল ঝাণ্ডার প্রতি আরও আস্থাশীল হয়ে উঠেছে। মহারাষ্ট্রেও সিপিএমের সদস্য সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে।
অপরদিকে একমাত্র বাম শাসিত রাজ্য কেরল রাজ্য ভিত্তিক সদস্য সংখ্যার নিরিখে সিপিএমের মধ্যে এখন ফার্স্ট বয়। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় যখন শূন্য হয় লজ্জার নজির তৈরি করেছে বামেরা, তখন কেরলে পরপর দু’বার ক্ষমতা ধরে রেখে আরেক রেকর্ড সৃষ্টি করে।