West Bengal CPM : সিপিএমের ঘুরে দাঁড়ানোর পথে প্রধান বাধা শ্রেণি প্রতিনিধিত্বে শূন্যতা!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কমিউনিস্ট পার্টি (Communist Party) হল শ্রমিকশ্রেণী ও মেহনতী মানুষের দল। আমাদের দেশের সব কমিউনিস্ট পার্টিই এই বিষয়টি নিয়ে বড়াই করে থাকে। দেশের সর্ববৃহৎ কমিউনিস্ট পার্টি সিপিএম (CPM) গর্বের সঙ্গে বলে আমরা শ্রমিকশ্রেণীর দল। কিন্তু দলীয় নেতৃত্বে শ্রমিকশ্রেণীর উপস্থিতি কোথায়?
সর্বভারতীয় হোক বা রাজ্য, সিপিএমের ( West Bengal CPM ) কোথাও শ্রমিক বা কৃষক নেতারা নেই। সিতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechuri), প্রকাশ কারাট(Prakash Karat) বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee), সূর্যকান্ত মিশ্র (suryakanta Mishra), মহম্মদ সেলিমরা (Mahammad Selim) কৃষক-শ্রমিক আন্দোলন করে উঠে আসেননি।
ইয়েচুরি, কারাত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিমরা বেশিরভাগই ছাত্র ও যুব আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সিপিএম নেতৃত্বে উঠে এসেছেন। বিশেষত বাংলায় জ্যোতি বসুর পর আর কোনও শ্রমিক নেতা সিপিএমের শীর্ষে উঠেছে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
Purulia Charra Airport : পুরুলিয়ার ছররায় বিমানচালকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা
West Bengal CPM
এই যে নেতাদের নাম নেওয়া হল তাঁরা সকলেই কমিউনিস্ট মতাদর্শ সম্বন্ধে অত্যন্ত স্বচ্ছ ধারণা রাখেন। বিভিন্ন আন্দোলনে তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু অন্য শ্রেণির প্রতিনিধি হয়ে শ্রমিকের পাশে দাঁড়ানো আর তাদের মধ্য থেকেই নেতৃত্বে উঠে আসার মধ্যে আসমান জমিন ফারাক আছে।
বাংলায় সিপিএমের ( West Bengal CPM ) অন্দরে এই ফারাকা আরও প্রকট। দল হিসেবে সিপিএম কিছুটা হলেও নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারলেও তা মূলত ছাত্র ও যুব আন্দোলনের ওপর ভর করে এগিয়ে চলেছে। শ্রমিক শাখা সিটু ক্রমশ অস্তিত্ব হারাচ্ছে। দুদিনের যে ভারত বনধ হল সেখানে বাংলায় সিটুর ব্যর্থতা স্পষ্ট।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিরোধী পরিসর দখলে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করলেও সিপিএম ( West Bengal CPM ) আদৌ কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ দলটাই যাদের জন্য তারাই আজ নেতৃত্বে অনুপস্থিত। কমিউনিস্ট পার্টি হওয়া সত্ত্বেও সিপিএমের সঙ্গে শ্রমিক শ্রেণীর যোগাযোগ যেন অনেক হালকা হয়ে গেছে!