বুধেই ৫ রাজ্যের নির্বাচনী নির্ঘন্টের প্রস্তুতি বৈঠকে কমিশন, রাতেই শহরে নির্বাচন কমিশনার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চলতি বছর রয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাই বুধবারই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট তৈরি করতে বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে অন্তত ইঙ্গিত মিলেছে এমনটাই।
বুধবার রাতেই শহরে আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সমস্ত জেলার এসপি ও ডিএমদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে চলে এসেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে রুটমার্চ শুরু করে দিয়েছেন তারা। ২৫ তারিখের মধ্যেই ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছাবে রাজ্যে। অতএব স্পষ্ট নির্বাচনী প্রস্তুতি ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে।
প্রসঙ্গত সোমবারই আসামের একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মনে করা হয়েছিল হয়তো ৭ ই মার্চের পর ঘোষণা হতে পারে নির্বাচনের দিনক্ষণ। তা নিয়ে বিতর্ক এবং বিস্তর জলঘোলো তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিআরপিএফ পাঠানো হয়। মূলত স্পর্শকাতর এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করাই তাদের মূল কাজ।
উচ্চ রক্তচাপ, নজরদারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলেন করোনা আক্রান্ত মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়
১৯৮০ সাল থেকে এই প্রক্রিয়া চলে আসছে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগেও বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে অন্যথা হবে না এবারও।
উল্লেখ্য শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, এবছর নির্বাচন হবে আসাম, কেরালা তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই চারটি জায়গাতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
তবে ভোটমুখী বঙ্গে যেভাবে কেন্দ্রের বিভিন্ন নেতৃত্বরা যাতায়াত শুরু করেছেন, তাতে একথা স্পষ্ট এবারের নির্বাচন শাসক-বিরোধী উভয়ের কাছেই বেশ চ্যালেঞ্জের। ‘১৯ হাফ ২১ সাফ’- এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বিজেপি গোটা রাজ্য জুড়ে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করেছে। ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট নেতাও।
ক্রমশ বদলাচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। পাল্টাচ্ছে সমীকরণ। অপেক্ষা নির্বাচনের নির্ঘন্টের।