মন্ত্রীত্বের পর গান, রাজীবেই মুগ্ধ গোটা দেশ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এটা প্রথমবার নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার মাইক হাতে গলা ছেড়ে গান গাইতে দেখা গেছে তাঁকে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ডোমজুড়েও বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে তাঁর গান মুগ্ধ করেছে আট-আশি সকলকেই। এনআরসি বিরোধী বুনিয়াদপুরের একটি সভায় গান গাওয়ার জন্য তাঁর হাতেই মাইক তুলে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন দাপুটে তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই বলছি আমরা।
গান গাইতে বরাবরই তিনি ভালবাসেন। তবে এতদিন তিনি যে সব গান গেয়েছেন সেগুলি বিভিন্ন ধরণের। দেশাত্মবোধক গান এই প্রথমবার তাঁর গলায় শুনছেন গোটা দেশবাসী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গানটি আপলোড হতেই মুহুর্তেই মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।‘হিন্দুস্তান মেরি জান’ নামে ওই গানটির সুরকার ও গীতিকার সুজয় গোস্বামী।
সদাহাস্যময় মন্ত্রীর কথায়, “ছোটবেলায় বাবার কাছে দেশাত্মবোধক গান শুনতাম। তখন থেকেই আমি উদ্বুদ্ধ হয়েছি।”
তাঁর কথায়, “দেশের সীমানা যারা রক্ষা করেন তাঁদের জন্যেই আমরা রাতে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমোতে পারি। সেনাদের এই আত্মবলিদান আমাদের মনে রাখতে হবে। তাই এই গান আমি গেয়েছি। প্রয়োজনে লাদাখে গিয়ে সেনাবাহিনীকে উৎসাহ দিতেও আমি রাজি।”
“লাজ বচানে তিরঙ্গাকে দি হ্যায় জিসনে জান / ভারত মাকে বীর শহিদোঁ তুম হো দেশকি শান…”,
৪ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ভিডিও জুড়ে ভারতীয় সেনার নানা যুদ্ধের দৃশ্য ভেসে উঠছে।
তাঁর মাঝেই ভেসে উঠছেন মন্ত্রী, থুড়ি গায়ক রাজীব ব্যানার্জীর গান গাওয়ার দৃশ্য। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চোখ ফেরানো অসম্ভব। সেই সঙ্গে গানের কথা ও সুর-তাল-ছন্দ। হলফ করে বলা যায় গানটি যেকোনো মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তুলতে বাধ্য।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া গানের এই লাইনগুলি এখন ঘুরছে আট-আশি সকলের মুখে মুখে। দেশের দায়িত্ববান নাগরিক রাজীব বাবুর এই গান উদ্বুদ্ধ করেছে সকলকেই। অতি বড় নিন্দুকও তাঁর এই গানে যে মুগ্ধ হবেনই তা নিঃসন্দেহে স্পষ্ট।
তবে বিষয়টি এখানেই থেমে নেই। গানটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নতুন করে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঘৃতাহুতি পড়েছে।
উঠছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। যেমন- কেন রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও হিন্দিতে গান গাইলেন তিনি? দেশাত্মবোধক গান গাইলেন, তাহলে কী বিজেপিতে যাচ্ছেন তিনি?
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তো বলেই বসলেন, যে দলে বা যে সরকারে তিনি রয়েছেন, সেখানে থেকে এই গান কি গাওয়া যায়?
কিন্তু যাঁকে নিয়ে এত উৎসাহ, তিনি কী বলছেন?
রাজীব বাবুর কথায়, দেশাত্মবোধ আমার ছোটবেলা থেকেই রয়েছে। হ্যাঁ হিন্দিতে গানটি গেয়েছি তার কারণ শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, যাতে গোটা দেশের মানুষ শুনতে পারেন গানটি। সর্বোপরি যাঁদের উদ্দেশে গানটি গাইলাম তাঁরা যেন শুনতে পান সেইজন্য।
সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে নিজস্ব ভঙ্গিতেই বললেন, “দেশাত্মবোধক গান নিয়ে রাজনীতির কোনো মানইে হয়না। আমার দলের সেনাবাহিনীর প্রতি যথেষ্ঠ শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে। বাকি যে ভাবছে ভাবুক, যা বলছে বলুক, রাজীব ব্যানার্জী তাদের কোনো উত্তর দেবে না।”