পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রতিটি প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে রাজ্যজুড়ে ৮২৪ টি নতুন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের টাকায় প্রতিটি ব্লকে এধরনের একাধিক কেন্দ্র তৈরি করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।আন্ত্রিক, কালাজ্বর, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মশাবাহিত বা জলবাহিত সংক্রমনের চিকিৎসাও হবে এই কেন্দ্র থেকে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকে ১৬ টি, দিনহাটা ব্লকে ১০ টি, উত্তর দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকে ৮ টি, হুগলির খানাকুল ১ নম্বর ব্লকে ৭ টি, মগরা ব্লকে ১১ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
ইতিমধ্যেই কোন জেলার কোন ব্লকে কতগুলি করে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে তার বিস্তারিত তালিকাও জেলা শাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্যের গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে আগামী পাঁচ বছরে আনুমানিক ৪০০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। তা দিয়ে ব্লকে ব্লকে তৈরি হবে নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
নবান্নের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে প্রবেশ দ্বারে স্মার্ট গেট
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও মিলবে ডায়গনিস্টিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাতেও মিলবে আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা। এতে বড় সরকারি হাসপাতালের উপর রোগীর চাপ অনেকটাই কমবে এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে, এমনটাই জানাচ্ছেন সরকারি কর্তারা।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের প্রসবকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি প্রকল্পগুলি রূপায়ণে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং নারী,শিশু ও সমাজ কল্যান দফতরকে এক ছাতার তলায় এনে কর্মসূচি রূপায়ণে উদ্যোগী হয়েছে। যার লক্ষ্য হল আশা কর্মী, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অক্সিলারি নার্স ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা একসঙ্গে যাতে কাজ করে।
প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবাকে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই মতোই রাজ্য সরকার ৮২৪ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য টেন্ডার ডাকা হয়ে হয়ে যায়। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের জন্য তা কার্যকরে সাময়িক স্থগিত রাখা হয়। আরআইডিএফ খাতে বরাদ্দ অনুমোদন পেতেই রাজ্য সরকার এই কেন্দ্র তৈরির কাজে হাত দিল