রাজ্যপালের উত্তর না আসায় আমন্ত্রন পত্রে রাখা হয়নি নাম,দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের

বিজেপি মনে করছে, রাজনৈতিক চাপেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আচার্য তথা রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানায়নি। এটি তাঁর প্রতি অবমাননা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কোচবিহার জেলা বিজেপি সভানেত্রী মালতি রাভা।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে আমন্ত্রিত নন রাজ্যপাল।আর এই ইস্যুতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় সমাবর্তন উৎসব। এই সমাবর্তন হবে কোচবিহার শহরের উৎসব অডিটোরিয়ামে।

প্রকাশিত আমন্ত্রণ পত্রে রাজ্যের চার মন্ত্রীর নাম থাকলেও নাম নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য তথা রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রথা মেনে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়ছিল।কিন্তু আচার্যের কোন রকম উত্তর না পাওয়ায় তাঁর নাম আমন্ত্রণ পত্রে ছাপা যায়নি।

আরও পড়ুনঃ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নাম নেই, ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল

বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় এ দাবি করলেও, রাজ্যপাল বুধবার টুইট করে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন।

পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় এবিষয়ে বলেন টুইট আমিও দেখেছি। কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। তিনি এলে আমরা স্বাগত জানাব। তবে এদিন তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন, “আমরা বিধি মেনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে উত্তর না আসায় আমন্ত্রণ পত্রে তাঁর নাম রাখা যায়নি। তাঁর এই টুইট প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।

বিজেপি মনে করছে, রাজনৈতিক চাপেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আচার্য তথা রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানায়নি। এটি তাঁর প্রতি অবমাননা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কোচবিহার জেলা বিজেপি সভানেত্রী মালতি রাভা।

অন্যদিকে এরসঙ্গে কোন রাজনৈতিক যোগ নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি তথা প্রাক্তন সংসদ পার্থ প্রতিম রায় বলেন, এটা সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপার। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি রাজ্যপালকে আমন্ত্রণের চিঠি পাঠানো হয়ছিল তাঁর কোন কনফারমেশন না আসায় আমন্ত্রণ পত্রে নাম রাখা যায়নি।

রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের কখন সদ্ভাব আবার কখন সংঘাতের মধ্যে দিয়েই নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সংঘাত চরমে ওঠে সাম্প্রতিক অতীতে।

রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ করে শিক্ষাক্ষেত্রে আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করে রাজ্য সরকার। সেই নিয়েও বিতর্ক চরমে উঠেছিল। এবারে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিতর্ক পুরভোটের আগে বিরোধীদের কাছে নয়া ইস্যু বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট