‘চোখের আলো’ কর্মসূচিকে সফল করতে এবার আশা কর্মীদের ব্যবহার করবে রাজ্য
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসার প্রকল্প ‘চোখের আলো’ কর্মসূচিকে সফল করতে এবার আশা কর্মীদের ব্যবহার করা হবে। এজন্য তাঁদের আলাদা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য শাখার তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে আশা কর্মীদের এখন থেকে চোখের আলো প্রকল্পের প্রচারের পাশাপাশি ওই প্রকল্পের স্থানীয় ব্যবস্থাপক হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
তাঁরা এলাকায় গিয়ে ছানির অস্ত্রপচার প্রয়োজন এমন রোগীদের চিহ্নিত করবেন এবং কাছের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। তাদের অপারেশনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বাড়ি থেকে নিয়ে আসা এবং পরবর্তী কালে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাদের পালন করতে হবে। এজন্য রোগী পিছু তাদের ৩৫০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে।
এরপরও কোনও রোগীকে একাধিকবার চিকিৎসকের কাছে আনতে হলে আশা কর্মীদের আলাদা করে রোগী পিছু ১৫০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।সরকারি – বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসা শিবির করা হলে সেখানেও রোগীদের নিয়ে আসার জন্যও আশা কর্মীরা একই হারে উৎসাহ ভাতা পাবেন।
উল্লেখ্য সাম্প্রতিককালে চোখের আলো প্রকল্প নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারায় রাজ্য সরকার তা নিয়ে পর্যালোচনার নির্দেশ দেয়। একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করার কথা জানানো হয়েছে।চোখের আলো সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে লক্ষ্যমাত্রা পূরন না করতে পারায় রাজ্য সরকার তা নিয়ে পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে।
মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করার পক্ষে জোরালো সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর
চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে রাজ্যের মালদা, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং এর মত ১৪টি জেলায় এই প্রকল্পে ৫০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরন করা যায়নি বলে সম্প্রতি স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্যকে রিপোর্ট দেওয়ায় তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া হলেও সাধারন মানুষের কাছে কেন তা পৌছে দেওয়া যাচ্ছে না রাজ্যের তরফে স্বাস্থ্য দপ্তরকে তা খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে।
এইজন্যে প্রতিটি জেলায় একটি করে টাস্ক ফোর্স গঠন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী দশ নভেম্বরের মধ্যে বাকি থাকা সব রোগীদের চোখের ছানি অপারেশন করার কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগে প্রতিদিন চোখের চিকিৎসা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সার্জনকে সপ্তাহে অন্তত তিনটি করে ছানি অপারেশন করার কথাও নবান্নের তরফে জানান হয়েছে।